ছবি- সোমনাথ পাল
সোমনাথ পাল, বনগাঁ: স্কুল আছে, শিক্ষকও আছে। নিয়ম করে মিড-ডে মিলও চালু রয়েছে। কিন্তু পড়াশোনার বিন্দুমাত্র বালাই নেই। তাই এবার এক প্রকার বাধ্য হয়েই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলের মধ্যেই আটকে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার আঁরাইলের মানবতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে বহুদিনের পুরনো স্কুল আঁরাইলের মানবতা প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে গ্রামবাসীদের ওই স্কুলের প্রতি আস্থা রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে স্কুলে কোনও পড়াশোনা হচ্ছে না। এই কারণ দেখিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। তাদের স্কুলের মধ্যেই আটকে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও অফিসের কর্মীরা। তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকরা।
[ চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি দক্ষিণবঙ্গে ]
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মানসিক ভারসাম্যহীন। গত কয়েক বছর আগে মিড-ডে মিল চুরিতে ধরাও পড়েন তিনি। স্কুল কমিটির তরফ থেকে প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে বিতাড়নের অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক অসহযোগিতায় আজও ওই স্কুলেই রয়ে গিয়েছেন তিনি। তাছাড়াও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে কারও সঙ্গে কারওর সুসম্পর্ক নেই। এর ফল ভোগ করতে হয় পড়ুয়াদের। তাদের আরও অভিযোগ, একে তো শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে অনেক দেরিতে আসেন। তারপর পড়াশোনার বালাই নেই। বারবার বলা স্বত্ত্বেও এতটুকু বদলায়নি হাল। তাই গ্রামবাসীদের মতে, স্কুল আর দরকার নেই। ছেলেমেয়েরা ঘরে বসেই পড়াশোনা করুক।
[ ভিনরাজ্য থেকে পাকড়াও বাগনানে ঈশিতা দত্ত খুনের অভিযুক্তরা ]
পরে স্কুল শিক্ষাদপ্তর থেকে আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নিয়ে স্কুলের তালা খুলে দেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু আগামিদিনে স্কুলের হাল না ফিরলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়। ওই স্কুলেরই শিক্ষক সুকুমার সরকার প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে পড়াশোনা যে হয় না, তা মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষিকা মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্ত আমরা, অন্যরা ছাত্রছাত্রীদের সঠিক শিক্ষা দিতে চেষ্টা করি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.