রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত, ছবি: সুশান্ত পাল।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বকরি ইদে গোহত্যা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু, সেই গোহ্ত্যাকে কেন্দ্র করেই পুলিশ- জনতা খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল বীরভূম লাগোয়া পড়শি রাজ্যের পাকুড়। ইদের কুবরবানিতে বাধা দেওয়ায় থানায় হামলার অভিযোগ। চলল বোমা ও গুলিও। সংঘর্ষে পুলিশকর্মী-সহ আহত ৪০ জন। আহতেরা ভরতি ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ হাসপাতাল ও রামপুরহাট হাসপাতালে। এলাকায় চলছে পুলিশের টহলদারি।
বুধবার সকালে ঝাড়খণ্ডের পাকুরের ডাঙাপাড়ায় ইদ উপলক্ষে গোহত্যা হচ্ছিল। এদিকে আবার ইদে গোহত্যা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশপুর থানার পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যাঁরা কুরবানি দিচ্ছিলেন, তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এমনকী, বাঁধা গরুগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের পালটা প্রতিরোধে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। উলটে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যেতে হয় পুলিশকে। এদিকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুলিশি হস্তক্ষেপে ক্ষেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। রীতিমতো মাইকে ঘোষণা করে বকরি ইদে পুলিশি হস্তক্ষেপের কথা সকলে জানিয়ে দেন তাঁরা। এরপর আশেপাশে গ্রামের মানুষ দলবদ্ধ হয়ে মহেশপুর থানার হামলা চালান বলে অভিযোগ।পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায় পুলিশ। সংঘর্ষে আহত হন ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। গুলি লেগেছে ১৪ জনের। তাঁদের চিকিৎসা চলছে বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতালে। বাকিরা ভরতি ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ আবিদ শেখ বলেন, “সকাল থেকেই ধর্মীয় রীতি মেনে পশু উৎসর্গের কাজ চলছিল। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে গণ্ডগোল শুরু হয়। থানায় গিয়ে বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চান গ্রামবাসীরা। পুলিশ গুলি চালায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.