Advertisement
Advertisement
তৃণমূল

একুশের সমাবেশে গরহাজির, গ্রামবাসীদের বেধড়ক ‘মার’ তৃণমূল নেতাদের

ধুন্ধুমার হাওড়ার আমতায়।

Villagers beaten for not attending 21 july's event in Amta
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 22, 2019 1:00 pm
  • Updated:July 22, 2019 7:30 pm  

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: খোদ দলনেত্রী যখন এলাকায় যখন জনসংযোগ বাড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন, তখন স্রেফ শহিদ দিবসের সমাবেশে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল হাওড়ার আমতায়। যাঁরা একুশের সমাবেশে যাননি, তাঁদের স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা পথ অবরোধ বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে, বিক্ষোভকারীরা পালটা ইটবৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ থেকে ফিরে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজি, আহত মহিলা-সহ ৬]

রবিবার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের দাবি, এবারের সমাবেশ ‘মেগা ফ্লপ শো’। ভিড় তো হয়ইনি, উলটে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ চলাকালীনই সভাস্থল ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু মানুষ। ভিড় বেড়েছে ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা চত্বরে। হাওড়ার আমতার চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশও এবার ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সমাবেশে যাননি বলে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সোমবার সকালে যাঁরা একুশের সমাবেশে যাননি, তাঁদের উপর চড়াও হন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। শাসকদলের নেতাদের তাণ্ডবে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদে সকালে গুজারপুর এলাকায় হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হন চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা। অবরোধ চলে প্রায় এক ঘণ্টা।

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের দাবি, রবিবার একুশের সমাবেশে যাওয়ার সময়ে তাঁদের হুমকি দিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শেষপর্যন্ত আমতা থানার পুলিশ রীতিমতো লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেয়। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। এরপরই গ্রামবাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পালটা ইটবৃষ্টি করতে শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আমতার চন্দ্রপুর গ্রামের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কী বলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা? তাঁদের দাবি, গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে শহিদ দিবসের সমাবেশে যেতে বাধা দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এখন আবার তাঁরাই গ্রামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন।

[আরও পড়ুন: ছেলেধরা আতঙ্ক, এবার জোড়া গণপিটুনির ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement