সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নিজেদের জীবন বিপন্ন করে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া এক মহিলার প্রাণ বাঁচালেন এক ভিলেজ পুলিশ ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। মূলত: তাঁদের তৎপরতাতেই শুক্রবার সকালে প্রাণে বাঁচলেন বছর সাঁইত্রিশের ওই মহিলা। নামখানার বেনুবন জেটির কাছেই লঞ্চ ছাড়ার পরেই লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যান ওই মহিলা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নামখানার বেনুবন জেটি থেকে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছাড়ে। সেই লঞ্চে স্বামী অমলেন্দু পয়রার সঙ্গে যাত্রী হিসেবে ছিলেন ৩৭ বছরের শিবানী পয়রা। তিনি গঙ্গাসাগর উপকূল থানার চেমাগুড়ির বাসিন্দা। জেটি থেকে লঞ্চ ছাড়ার পরমুহূর্তেই অসাবধানতাবশত শিবানী দেবী হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে লঞ্চ থেকে পড়ে যান। জেটিতে সেই সময় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন ভিলেজ পুলিশ সুভাষ ভূঁইয়া এবং সিভিক ভলান্টিয়ার স্বরূপ দাস।
ওই মহিলাকে নদীতে পড়ে যেতে দেখেই তাঁরা দু’জনই সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন। সাঁতরে জেটি থেকে বেশ খানিকটা দূরে গিয়ে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে নদীতে পড়ে যাওয়া ওই মহিলার কাছে গিয়ে পৌঁছান তাঁরা। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে বেশ কিছুক্ষণ নদীর স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত শিবানীদেবীকে নদী থেকে জীবন্ত উদ্ধার করে আনতে সক্ষম হন ওই দুই যুবক। দুই যুবকের এই কাজে অত্যন্ত খুশি সুন্দরবন জেলা পুলিশের কর্তারা।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ওই দুই যুবক জেটিঘাটে অত্যন্ত তৎপর হয়ে কর্তব্য করছিলেন বলেই নদীতে পড়ে যাওয়া ওই মহিলাকে জীবন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারকারী ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের এই কাজে অত্যন্ত গর্ব অনুভব করছেন তাঁরা। দু’জনকেই পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.