Advertisement
Advertisement

Breaking News

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পদ ছাড়লেন বাঁকুড়া পুরসভার উপপ্রধান

২ বছর ধরে পুরপ্রধানের সঙ্গে ডেপুটির দ্বন্দ্ব চলছিল৷

Vice Chairman of Bankura resigns and accuses Chairman of corruption
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 28, 2019 7:48 pm
  • Updated:June 28, 2019 7:48 pm  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কাজে দুর্নীতি, অন্ধকারে রেখে বিভিন্ন কাজ করে নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলেন বাঁকুড়ার উপপুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল৷ শুক্রবার তিনি পুরসভায় নিজের ঘরে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন৷ তাঁর অভিযোগের তির পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে৷

[আরও পড়ুন: ‘গ্রেপ্তার করতে হবে অর্জুন সিংকে’, ভাটপাড়া ঘুরে দাবি তৃণমূলের পরিষদীয় দলের]

লোকসভা ভোটের শাসকদলের আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আলাদাভাবে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়েও বৈঠক করেন৷ সেখান থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো ‘কাটমানি’ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন৷ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘কাটমানি’র টাকা ফেরাতে হবে৷ তাঁর সেই বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছিল বিক্ষোভ৷ এধরনের দুর্নীতি যে কম হয়নি, তারও প্রমাণ মিলছিল৷ এবার স্বয়ং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানই সেই পরোক্ষে সেই অভিযোগ তুললেন৷ বাঁকুড়ার উপপুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল অভিযোগ করলেন, টেন্ডার ছাড়া পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে একের পর এক রাস্তা তৈরি-সহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত৷ প্রায় বছর দুই ধরে উপপুরপ্রধানকে অন্ধকারে রেখেই কাজ চালাচ্ছেন পুরপ্রধান৷ এমনকী তাঁর দায়িত্বে থাকা রাজস্ব আদায় দপ্তরটিকেও কৌশল করে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে৷ এনিয়ে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি৷ নিজের কাজ চালাতে গিয়ে এবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি৷ উপায় না দেখে পদত্যাগ করেছেন তিনি৷ জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী এবং জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যালের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন৷ তবে পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তর দাবি, এবিষয়ে উপপুরপ্রধান তাঁকে কিছুই জানায়নি৷

Advertisement

২০১৫ সালে পুরভোটের পর বাঁকুড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান নির্বাচিত হন দিলীপ আগরওয়াল৷ তাঁকে স্বাধীনভাবে রাজস্ব আদায় বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ তারপর থেকেই রাজস্ব আদায় বেড়েছে৷ এনিয়ে রীতিমত পরিসংখ্যান দিয়ে এই দাবি করেছেন দিলীপ আগরওয়াল৷ তারপরও তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ বছর দুই ধরে তাঁর সঙ্গে পুরপ্রধানের মনোমালিন্য দেখা গিয়েছে৷ দিলীপবাবুর অভিযোগ, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নেওয়া হচ্ছিল৷ সম্প্রতি প্রতাপগড়ের রাস্তা তৈরি হয়েছে বিনা টেন্ডারে, কোটি টাকা খরচ করে৷ এরপরই রীতিমত ক্ষেপে ওঠেন তিনি৷

[আরও পড়ুন:রাজ্য সড়কের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, মেরামতির দাবিতে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের]

সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জন্য নির্বাচনী ময়দানে নেমেও পুরপ্রধান এবং সদ্য প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ-এর থেকে সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন দিলীপ আগরওয়াল৷ এসবের জেরে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল৷ শেষমেশ শুক্রবার তিনি পদ ছেড়ে দেন৷ এই মুহূর্তে বাঁকুড়া পুরসভার মোটে আসন সংখ্যা ২৪৷ তৃণমূল ১৭, বিজেপি ২, কংগ্রেস ১, নির্দল ১ এবং ৩ জন বাম কাউন্সিলর৷ এখন উপপুরপ্রধানের সঙ্গে আরও কোনও কাউন্সিলর পদ ছেড়ে দেন কি না, সেটাই দেখার৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement