অর্ণব দাস, বারাসত: বাংলা ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হয়েছে, তৃণমূলকে (TMC) কাঠগড়ায় তুলে বারবার একই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আবার কাঠগড়ায় রাজ্যের শাসকদল। স্থানীয় বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের মদতে এই বাজি কারখানা রমরমিয়ে চলত বলেই দাবি বিজেপি। যদিও সে দাবি নস্যাৎ করেছেন খোদ বিধায়ক-মন্ত্রী। পালটা ISF-কে দুষেছেন তিনি। মৃত্যু নিয়ে ‘শকুনের রাজনীতি’ করা ঠিক নয় বলেই মত তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক পড়ে রয়েছে দেহাংশ। এতটাই শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে যে দেহ উঠে যায় বাড়ির চালেও। এমনকী দোতলা বাড়িও প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতি দেখে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। গত মে মাসে এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্লাস্টার তৈরির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের এলাকায় বেআইনিভাবে বাজি কারখানা গড়ে উঠছে কিনা, জনপ্রতিনিধিদের সে বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে দত্তপুকুরে এই বীভৎস কাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিজেপির দাবি, পুলিশকে বারবার জানানো সত্ত্বেও বাজি কারখানা বন্ধে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষেও পরোক্ষ মদত ছিল বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যদিও সে দাবি খারিজ করেছেন খোদ রথীন ঘোষ। এলাকায় রমরমিয়ে চলা বাজি কারখানা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলেই জানান তিনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতেন বলেও জানান। এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আইএসএফ নেতারা যুক্ত বলে পালটা অভিযোগ তাঁর। তবে এখনই এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হোক, তা চান না তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বীভৎস ঘটনা নিয়ে ‘শকুনের রাজনীতি’ ঠিক নয় বলেই মত তাঁর।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.