সুমন করাতি, হুগলি: একটু বেশি রোজগারের আশা। পেটের টানে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে কাজে গিয়ে বিপত্তি। উত্তরকাশীর টানেলে কাজ চলাকালীন আটকে পড়েছিলেন। তার পর টানা ১৬ দিন সুড়ঙ্গে জীবন সংগ্রাম। পরিবারের ভয়ংকর দিন কাটিয়ে অবশেষে ঘরে ফেরা। তাও মনের জোর রয়েছে একইরকম। “কাজে তো ফিরতেই হবে”, নিজের গ্রামে ফিরে বলছেন হুগলির সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব পরামানিকরা।
হুগলির পুরশুড়ার নিমডাঙ্গির জয়দেব প্রামাণিক এবং হরিণখালির বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। দুপয়সা বেশি রোজগারের আশায় নিম্নবিত্ত পরিবারের দুই সন্তান গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডে। টানেলে কাজ চলাকালীন আটকে পড়েন তাঁরা। একটানা ১৬ দিন সেখানেই দিন কাটে। রবিবার সকালে গ্রামে ফেরেন তাঁরা। মালা পরিয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’দের বরণ করে নেওয়া হয়। বিপদকে হার মানিয়ে ঘরে ছেলেরা গ্রামে ফেরায় খুশি পরিবারের লোকজন, বন্ধুবান্ধব সবাই। গোটা গ্রামেই যেন উৎসবের মেজাজ। বাড়িতে এলাহি রান্নার আয়োজন করা হয়েছে।
গ্রামে ফিরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা সকলকে জানান দুজনে। তাঁরা জানান, সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের প্রথম দুদিন খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। পরে যদিও আতঙ্ক কেটে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর থেকে অনেকটাই যেন শান্তি পান তাঁরা। খাবারের কোনও অভাব হয়নি টানেলে। বেরিয়ে আসতে যে পারবেনই, সেই মনের জোর আগাগোড়াই ছিল তাঁদের। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ দুই শ্রমিক নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল। “কাজে তো ফিরতেই হবে”, বলছেন সৌভিক-জয়দেবরা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.