Advertisement
Advertisement

সরকারি ‘ক্ষতিপূরণ’ নিতে নারাজ শহিদ গঙ্গাধরের বাবা

“বিষমদ-কাণ্ডে যারা মারা গিয়েছিল তাদেরও সরকার ২ লক্ষ টাকা করেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল৷ আমি তাই টাকাও নেব না, চাকরির প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যানও করছি৷”

Uri Martyr's Father to reject token compensation by Bengal Government
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 25, 2016 4:14 pm
  • Updated:September 25, 2016 4:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশরক্ষার কাজে রত হয়ে উরিতে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার ছেলে গঙ্গাধর দলুই৷ তবে রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষিত শহিদের পরিবারের জন্য নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করলেন তাঁর বাবা ওঙ্কারনাথ দোলুই৷

উরিতে শহিদদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে মমতা সরকারের তরফে৷ যদিও সেই ক্ষতিপূরণ নিতে নারাজ শহিদ গঙ্গাধর দলুইয়ের পরিবার৷ জানা যাচ্ছে, ছেলের শেষকৃত্যের জন্য তিনি ১০,০০০ টাকা ধার করেছেন৷ তবু কেন সরকারি সাহায্য নিতে নারাজ? উত্তরে যেন যেন খানিকটা অভিমানীই শোনায় ওঙ্কারনাথকে৷ “ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা অত্যন্ত অপমানজনক৷ বিষমদ-কাণ্ডে যারা মারা গিয়েছিল তাদেরও সরকার ২ লক্ষ টাকা করেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল৷ আমি তাই টাকাও নেব না, চাকরির প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যানও করছি৷”, বলেন তিনি৷ যে চাকরির প্রস্তাব সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে তাও মনঃপুত হয়নি তাঁর৷ কেননা এ চাকরির নিরাপত্তা প্রায় নেই বললেই চলে৷ মাহিনা বা দৈনিক মজুরিও বেশ কম৷ তাঁর ছেলের আত্মবলিদানের পরিবর্তে সরকারের এই ক্ষতিপূরণ প্রত্যাশা করেননি তিনি৷ আর তাই অভিমানী হয়েই সব ফেরাতে চাইছেন৷  পাড়া প্রতিবেশীর কাছে অকপটে হাত পাতলেও, সরকারি সাহায্য থেকে মুখই ফিরিয়েছেন ওঙ্কারনাথ৷

Advertisement

তাঁর এই অভিমান কতটা সঙ্গত? দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ বা রাজস্থান কিংবা বিহারেও শহিদদের পরিবার পিছু কোথাও ২০ লক্ষ, কোথাও ১০ বা ১১ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে৷ এছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তো থাকছেই৷ সে তুলনায় বাংলার ক্ষতিপূরণের অঙ্ক যে নিতান্ত কম তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ ঠিক এই কারণেই সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়ে অভিমানী শহিদ গঙ্গাধরের বাবা৷

শহিদের বাবার এই মন্তব্য রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ অনেকেই শহিদের পরিবারের ছবি পোস্ট করে জানাচ্ছেন যে, শহিদরা ভিখারি নন যে তাঁদের ক্ষতিপূরণের অঙ্ক এত কম হবে৷ কেউ কেউ আবার বলছেন অক্ষয় কুমার পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারকে ৫-১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ এত কম হয় কী করে! বিশেষত প্রতিবেশী রাজ্যগুলি যখন এতটা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, তখন বাংলার ক্ষেত্রেও একইরকম সহমর্মিতা দেখানো জরুরি ছিল৷ শহিদ গঙ্গাধরের পরিবারকে সহানুভূতি জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে ওঙ্কারনাথের এই প্রত্যাখ্যানের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কোনও বিকল্প ভাবনা আছে কি না, তা এখনও জানানো হয়নি৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement