ব্রতীন দাস: তাঁর নামে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। কিন্তু পাহাড়কে অশান্ত করে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বিমল গুরুং। অবশেষে অজানা কোনও স্থান থেকে এক নেপালি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা গেল তাঁকে। সেই ভিত্তিতেই গুরুংকে গ্রেপ্তারির তোড়জোর শুরু করেছে গোয়েন্দা ও প্রশাসন।
[ গুরুংয়ের ডেরায় অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজ, চাপানউতোর ]
পাহাড়ে জঙ্গি আন্দোলন শুরু করলেও প্রশাসনের চেষ্টায় তা অনেকটাই স্তিমিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাজির থেকে পাহাড়কে অনেকটাই শান্ত করেছেন। যদিও অশান্তির আঁচ এখনও পুরোপুরি কাটেনি শৈলশহর থেকে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার গুরুংয়ের বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। ঠিক তারপরই নেপালি এক চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা গেল গুরুংকে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন মোর্চা সুপ্রিমো। তাঁর দাবি, তল্লাশির নামে রীতিমতো তছনছ করা হয়েছে তাঁর বাসস্থান। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি বা নির্বাচিত চিফ এক্সিকিউটিভ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলেই অভিযোগ গুরুংয়ের। একই সঙ্গে পাহাড়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, পাহাড়ে তাণ্ডব করেছে পুলিশ। গুরুংয়ের স্ত্রীও অভিযোগ করেছেন যে তাঁর বাড়িতে তল্লাশির রীতিমতো অত্যাচার চালানো হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে গাড়িতে। পুলিশ ও প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
[ গুরুংয়ের বাড়িতে পুলিশি অভিযান, পাহাড়ে তাণ্ডব চালিয়ে মোর্চার প্রত্যাঘাত ]
এদিকে গুরুংয়ের বাড়ির পিছন দিকেই আছে নেপালে যাওয়ার রাস্তা। নেপালি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর থেকেই ওই রাস্তা দিয়ে তাঁর নেপালে গা ঢাকা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে। ফলে কোমর বেঁধে নেমেছে পুলিশ ও প্রশাসন। কোথায় বসে গুরুং সাক্ষাৎকার দিলেন তা চিহ্নিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন গোয়েন্দারাও। গুরুংয়ের গ্রেপ্তারির তোড়জোড় শুরু হয়েছে জোরকদমে।
দেখুন ভিডিও-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.