Advertisement
Advertisement

Breaking News

COVID-19 Vaccine

লাইন দিয়েও মিলছে না টিকা! বেলুড় হাসপাতালে ধুন্ধুমার, ভাঙল গেট

টিকার ঘাটতি নিয়ে সরব বিধায়কও।

Unrest in Belur Hospital due to shortage of COVID-19 Vaccine| Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 20, 2021 1:24 pm
  • Updated:May 20, 2021 2:19 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: করোনার ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) নেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে বেলুড় হাসপাতালের (Belur Hospital) গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখালেন টিকার দাবিদাররা। নব নির্বাচিত বালির বিধায়ক চিকিৎসক রাণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভ্যাকসিনের চাহিদার তুলনায় নগণ্য জোগানে যে কোনও দিন আগুন জ্বলে যেতে পারে এখানে।”

ভ্যাকসিনের জন্য আসা মানুষজনের অভিযোগ, বৃহস্পতিবারের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বুধবার সারাদিন লাইন দেওয়া হয়। বাইরে রাখা খাতায় নাম লেখেন নিজেরাই। বিকেলের দিকে অনেকে আসেন লাইন দিতে। তাঁরা অভিযোগ করেন, লাইনে লোক কম হলেও খাতায় নথিভুক্ত নাম শতাধিক। এই নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ঝামেলা চলে। রাত এগারোটা নাগাদ পুলিশ এসে বিক্ষোভ থামায়। পরে  সেই সময় সেখানে ভ্যাকসিনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সকলের নাম নিয়ে নতুন একটি তালিকা তৈরি করে দেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে রেশন’ বিলি শুরু, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমের একাংশে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেল খাদ্যসামগ্রী]

রাত তিনটে নাগাদ মানুষজন এসে তারাও নতুনভাবে লাইন তৈরির চেষ্টা করে। হাসপাতাল ভবনের পূর্ব দিকের গেট ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। ভিতরে ঢুকে নতুন করে লাইন তৈরি করায় ঝামেলা আরও বেড়ে যায়। রাত থেকে এ নিয়ে বিক্ষোভ, ঝামেলা চলতে থাকে। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার মাঝে বেলা গড়িয়ে গেলেও টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি। হাসপাতালের সুপার এস কে ঠাকুর বলেন, “ঝামেলা এড়িয়ে ১০০ জনকে কুপন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যা দেখে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।”

কুপন না পেয়েও মানুষজন ক্ষোভে ফুঁসছে। বিধায়ক রাণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চাহিদার তুলনায় জোগান এতটাই কম যে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন।” মঙ্গলবার থেকে বালির তিনটি আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার কেদারনাথ হাসপাতাল, রঙ্গোলি ও কুমোরপাড়া এলাকার সেন্টারে জোগান না থাকায় টিকা দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে বেলুড় হাসপাতালে বাড়তি চাপ পড়ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, “ওই হাসপাতালে কোভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ফলে দূরের এলাকা থেকেও মানুষজন আসছেন। শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে বাড়তি ভ্যাকসিনের জন্য সিএমওএইচকে আবেদন জানাব। এই সমস্যার সমাধান চাই। না হলে সমস্যা ভয়াবহ রূপ নেবে।”

[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে তৈরি ‘কোভিড ফান্ড’, এবার জোট বাঁধলেন জঙ্গলমহলের শিক্ষকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement