ছবি: প্রতীকী।
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: প্রায় ১০ বছরের বিবাহিত সম্পর্ক। বছর পাঁচেকের একটি মেয়েও রয়েছে। পরিবারে নিত্য অশান্তি, বিরক্ত হয়ে স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন বাপের বাড়ি। দাম্পত্য জীবনের এই চিরাচরিত ঘটনাই যে এমনদিকে মোড় নেবে, কেউই ভাবতে পারেনি। স্ত্রীর খোঁজে শ্বশুরবাড়ি এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল যুবকের। পূর্ব মেদিনীপুরের মছলন্দপুরের ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে মহিষাদল থানার পুলিশ।
মহিষাদলের কালিকাকুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের বিশ্বজিৎ মাইতি। স্ত্রী ঝর্ণা মাজির সঙ্গে প্রায়শয়ই বিবাদ হতো। তিতিবিরক্ত হয়ে ঝর্ণা ৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে মছলন্দপুরে বাপের বাড়ি চলে আসে দিন কয়েক আগে। হঠাৎ বিশ্বজিৎ জানতে পারে যে ঝর্ণাকে ফের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর আর স্থির থাকতে পারেননি বিশ্বজিৎ। প্রতিবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার বেলার দিকে শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান। কিন্তু দিনভর চেষ্টার পরেও স্ত্রীর কোথায় বিয়ে হয়েছে, তা উদ্ধার করতে পারেননি তিনি।
এরপর শুক্রবার সকালে রহস্যজনকভাবে মছলন্দপুরে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিশ্বজিতের নিথর দেহ। খবর পেয়ে মহিষাদল থানার পুলিশ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তা হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তার পাশের একটি সুপারি গাছের সঙ্গে ওই যুবকের গলায় সরু নাইলনের দড়ি ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার পরেই বিশ্বজিতের মৃত্যু নিয়ে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁর শ্বশুর কৃষ্ণপ্রসাদ দাসকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার বিষয়ে মছলন্দপুর গ্রামের কোনও ব্যক্তি মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.