Advertisement
Advertisement

Breaking News

হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক

বন্ধ চায়ের দোকান থেকে উদ্ধার হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের দেহ, খুন বলে দাবি পরিবারের

সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের।

Unnatural death of the MLA of Nort Dinajpur's Hemtabad
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 13, 2020 9:03 am
  • Updated:July 13, 2020 9:41 am  

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: অস্বাভাবিক মৃত্যু উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের (Hemtabad) বিজেপি বিধায়কের। সোমবার সাতসকালে চায়ের দোকান থেকে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের হাত বাঁধা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েতের বালিয়া গ্রামে তাঁর আদি বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে অবস্থিত ওই চায়ের দোকানটি। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে বিধায়ককে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। 

রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরের বাসিন্দা তিনি। রবিবার সন্ধেয় বিন্দোলের বালিয়ার আদি বাড়িতে ফিরেছিলেন। পরিবারের দাবি, রাত একটা নাগাদ বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর রাতভর তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার সাতসকালে খোঁজাখুঁজি করতে করতে বালিয়া গ্রামে বিধায়কের আদি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পৌঁছন স্থানীয়রা। বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে বিধায়কের হাত বাঁধা অবস্থা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। যদিও খুন নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণ নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে বিডিও’র সংঘাত, মহকুমা শাসককে চিঠি]

বিধায়কের স্ত্রী তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান চাঁদিমা রায়ের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়কে। মৃত্যুর প্রকৃত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি। তিনি বলেন,”দেবেনবাবুর মৃত্যু যথেষ্ট সন্দেহজনক। একজন মানুষ হাত বাঁধা অবস্থায় কখনই আত্মহত্যা করতে পারেন না। সকলেই সন্দেহ করছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ বের করুন।” 

২০১৬সালে বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদ কেন্দ্র থেকে সিপিএমের টিকিটে জয়লাভ করেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতে পরপর তিনবার সিপিএমের প্রধান ছিলেন। সমবায় সমিতি গড়ে গ্রামের প্রচুর মানুষকে আর্থিক সাহায্য করতেন। তারপর অবশ্য ২০১৯ সালে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃ্ত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া।  

[আরও পড়ুন: ‘বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকলে মানুষের কাছে ক্ষমা চান’, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ অধীরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement