ছবি: প্রতীকী
শঙ্কর কুমার রায়, রায়গঞ্জ : কর্তব্যরত এক পুলিশ কনস্টেবলের খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। বৃহস্পতিবার রাতে চোপড়ার কলাগছ এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কলাগছ এলাকায় ডিউটিতে যান চোপড়া থানার পুলিশ বাহিনী। সেখানেই ছিলেন চাকুলিয়ার গণ্ডালের বাসিন্দা সাব্বির আলম নামে ওই কনস্টেবল। সঙ্গে ছিলেন আরও ৫ পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, মধ্যরাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মীরা। সেই সময় গাড়ি থেকে নামেন সাব্বির আলম নামে ওই পুলিশ কর্মী। এরপর গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেইসময় হঠাৎই গুলির শব্দ পান গাড়িতে থাকা অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন সাব্বির। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ ইসলামপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গাড়ি থেকে নেমে ফোনে কথা বলার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর ডান কানে লাগে গুলি। তবে কেন গুলি করা হল সাব্বির আলমকে? ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্যকিছু? কারা রয়েছে ঘটনার পিছনে? তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। ডিউটিতে গিয়ে কনস্টেবলের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। তাঁদের দাবি ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্ত করুক পুলিশ। শুক্রবার সকালে তদন্তের স্বার্থে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত হবে। অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.