নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া গরু উদ্ধার করতে গিয়ে বেরিয়ে এল অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল সিউড়ি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে সিউড়ি থানার পুলিশ৷ তবে মৃতদেহ কার, তা শনাক্ত করা যায়নি।
[হুগলির চণ্ডীতলায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ ]
রবিবার সকালে ওই এলাকার সুইপার কলোনির পিছনের মাঠের মুখ খোলা সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে গরু পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা৷ গরুটি এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধদেব মালের৷ তাঁরাই প্রথমে গরুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন৷ কিন্তু না পারায়, খবর দেওয়া হয় দমকলে৷ এরপর দমকল কর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় গরুটিকে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে বাইরে বের করা যায়৷ গরু বাইরে আসতেই সেপটিক ট্যাংকের ভিতর ভেসে ওঠে ওই মৃতদেহটি। যাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়৷ সঙ্গে সঙ্গে সিউড়ি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা৷ পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ওই এলাকারই বাসিন্দা অংশুমান নাগ জানিয়েছেন, মৃত যুবকের পরনে ছিল ফুলপ্যান্ট৷ দেহটি ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল৷ মুখ ফুলে যাওয়ায়, তাকে শনাক্ত করা যায়নি।
[পরীক্ষায় উত্তরপত্র আছে, প্রশ্নপত্র নেই! PSC-তে বাঁকুড়ার স্কুলে চাঞ্চল্য]
এলাকার কাউন্সিলর মনিকা দাস জানান, তাঁর এলাকায় বাসিন্দা চকালাল ডোমের নাতি গত ছ’মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সিউড়ি থানায় নিখোঁজ ডাইরিও করা হয়েছে। ফলে মৃতদেহটি এই ব্যক্তিরই নাকি, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ রবিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধারের পর চকালাল ডোমকে শনাক্তকরণের জন্য ডেকে পাঠানো হয়৷ তবে, দেহটি তাঁর নাতির নয় বলে জানান ওই ব্যক্তি। পুলিশের অনুমান, যুবকের বয়স পঁয়ত্রিশের আশপাশে হবে৷ দেহটি কমপক্ষে ছ’মাস ধরে ওই সেফটি ট্যাংকে পড়ে রয়েছে৷ মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল হয়ে সে হয়তো ওই সেপটিক ট্যাংকে পড়ে গিয়েছে৷ কারণ মৃতদেহের দেহে কোনও ক্ষতচিহ্ন পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েনি৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত কোনও কিছুই স্পষ্ট করে বলার পক্ষপাতী নন তদন্তকারী অফিসাররা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.