সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকতা চিরকালই তাঁর না-পসন্দ। কিন্তু সে সব বলে কী আর ভক্তদের ঠেকিয়ে রাখা যায়! শুক্রবার নেটদুনিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভেসে আসছে একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তা। মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক প্রোফাইল মোতাবেক, ১৯৫৫-র ৫ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। আজ তিনি পা দিলেন ৬৩ বছরে। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে আজীবন সংগ্রাম করে উঠে এসে আজ রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে আসীন মমতার নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলি বসেছে যোগ্য কারণেই। আজ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এমন বেশ কয়েকটি তথ্য এই প্রতিবেদনে জানানো হল, যেগুলি অনেকেই হয়তো জানেন না৷
১. ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ ইসলামিক হিস্ট্রিতে রয়েছে মাস্টার ডিগ্রি৷
২. তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি খেতে বিশেষ পছন্দ করেন না মমতা৷ ‘দিদি’ খেতে পছন্দ করেন মুড়ি, চা ও চকোলেট৷ ঘনিষ্ঠ মহলে হালকা মেজাজে আড্ডা দিতে বসলে মুড়ির সঙ্গে আলুর চপ খেতে ভালবাসেন মমতা৷
৩. প্রতিদিন ট্রেডমিলে অন্তত ৫-৬ কিলোমিটার হাঁটেন মমতা৷ অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লম্বা করিডর ধরে সহকর্মী, সাংবাদিকদের সঙ্গে হাঁটেন মমতা৷ গল্প করতে করতে একসঙ্গে ১০ কিলোমিটারও হেঁটে ফেলেন মমতা৷
৪. সাদা তাঁতের শাড়ি পরতে ভালবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একরঙা পাড়ের৷ এই ধরনের শাড়ি তৈরির জন্য জনপ্রিয় হুগলির ধনেখালি৷
৫. মুখ্যমন্ত্রী হয়েও দক্ষিণ কলকাতার ঘিঞ্জি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে টালির বাড়িতে থাকেন মমতা৷ অল্প বৃষ্টিতেই তাঁর বাড়ির সামনে জল জমে যায়৷ তখন মমতাকে দেখা যায় বাড়ির সামনে পাতা ইটের উপর পা রেখে হাঁটতে৷
৬. প্রকৃতি বিশেষ প্রিয় মমতার৷ সময় পেলেই তাই দার্জিলিংয়ের পাহাড় বা মেদিনীপুরের জঙ্গলে ছুটে যান মমতা৷
৭. নেচার ফটোগ্রাফি মমতার হবি৷
৮. সেন্ট্রাল পার্কের সৌন্দর্যায়ন মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত৷ শুধু তাই নয়, ইকো পার্ক থেকে শুরু করে লালদীঘির আধুনিকীকরণ-সবই হয়েছে মমতার হাত ধরে। মানুষ আনন্দ করুক, সুস্থ থাকুক- এটাই জননেত্রীর একমাত্র চাহিদা।
৯. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান শুনতে ভালবাসেন৷ সময় পেলেই শোনেন রবীন্দ্রসঙ্গীত, পাঠ করেন নজরুলের কবিতা৷
১০. বীরভূমে মমতার মামারবাড়ি৷ ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে মামারবাড়ি গেলেই সেখানকার ধানক্ষেতে খেলা করতেন আজকের মুখ্যমন্ত্রী৷
১১. পূর্ণ সময়ের রাজনীতিতে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্টেনোগ্রাফার হিসাবে কাজ করতেন৷ এছাড়াও তিনি কখনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, কখনও প্রাইভেট টিউটর এমনকী সেলসগার্লের কাজও করেছেন৷
১২. দুঃসময়ে যাঁরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কখনও ভোলেন না মমতা৷ মমতার রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল৷ সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় আজও মমতার সর্বক্ষণের সঙ্গী।
১৩. মমতা বহু কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ, এমনকী উপন্যাসও লিখেছেন৷ তিনি একজন চিত্রশিল্পীও বটে৷ তাঁর আঁকা ছবি বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকার পুরোটাই তিনি দেন পার্টি ফান্ডে৷
১৪. মুখে মুখে ছড়া তৈরি করতে পারেন এই জননেত্রী৷ বিভিন্ন জনসভায় কোনওরকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই তাই বিরোধীদের নিশানা করে দুই-চার লাইনের ছড়া কাটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই ছড়া শুনে প্রশংসা আর হাততালিতে ভরিয়ে দেয় উপস্থিত জনতা৷
১৫. বাংলার লোকশিল্পের প্রতি মমতার আন্তরিক অনুরাগ রয়েছে৷
১৬. মমতা প্রকৃত অর্থেই একজন টেক-স্যাভি৷ সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যান মমতা৷ ফেসবুক করেন, নিয়মিত টুইট করেন৷ তাঁর প্রতিটি জনসভার ছবি ও বিস্তারিত তথ্যই মেলে তাঁর ফেসবুক ও টুইটার প্রোফাইলে।
(ছবি সৌজন্য: নিজস্ব চিত্র, ফেসবুক, টুইটার ও ফাইল চিত্র)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.