বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সন্ধে নামতেই অন্ধকারে ভেসে আসছে বিকট আওয়াজ। যে আওয়াজ শুনে বাড়ির কচিকাঁচারা তো বটেই, আতঙ্কিত বড়রাও। প্রকৃতই কীসের আওয়াজ ভেসে আসছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। অবশ্য ওই ধরনের আওয়াজ শুনে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার চটকাতলা গ্রামের বাসিন্দাদের মনে একরাশ আতঙ্কের ভিড়। প্রাথমিকভাবে অজানা জন্তুর আওয়াজ বলেই মনে করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের লোকজন প্রায় দু’দফায় ঘুরে গিয়েছেন গ্রামে। কিন্তু রবিবার সন্ধে পর্যন্ত দেখা মেলেনি কোনও অজানা জন্তুর। মেলেনি কোন জন্তুর পায়ের ছাপও।
বনদপ্তরের অনুমান, সম্ভবত কোনও ভাম বিড়াল হবে। একাকিত্বের কারণে সন্ধে নামতেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ডাকাডাকি করছে। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় কোন জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা যায়নি। সে কাউকে আক্রমণও করেনি। দু’দফায় তল্লাশি চালিয়েও বনদপ্তরের লোকজন কোন অজানা জন্তুর হদিশ পাননি। যদি কারও নজরে জন্তু পড়ে তাহলে তাকে কোনওভাবেই আঘাত না করা হয়, সে বিষয়ে প্রচার করছে বনদপ্তর। অজানা ওই জন্তুকে পাকড়াও করার জন্য গ্রামবাসীরা সন্ধের পরই ওত পেতে বসে রয়েছেন। রাতে স্থানীয়রা দলবদ্ধভাবে রাতে লাঠি ও টর্চ নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। কোথাও জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে আগুন। অজানা জন্তুর আতঙ্কই যেন রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে রাতের অন্ধকারে কোনও অজানা জন্তু বাঁকুড়ার বারিকুলের গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। ওই এলাকার কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে তা দেখতে পান। বন্য জন্তুর বড় বড় পায়ের ছাপ দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। গ্রামবাসীরা প্রথমে ওই ছাপ দেখে বাঘ জাতীয় কোনও জন্তু এলাকায় ঢুকেছে বলে দাবি করেছিলেন। যদিও বনদপ্তর দু’দিন ধরে সেটি বাঘের ছাপ নয় বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। পরে যদিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বনদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, এটি বাঘেরই পায়ের ছাপ। তবে আজও বাঘকে ধরা সম্ভব হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.