Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঘ

জমিতে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ, ফের বাঘের আতঙ্ক ঝাড়গ্রামে

পায়ের ছাপগুলির নমুনা সংগ্রহ করেছে বনদপ্তর।

Unknown animal spreading fear in Jhargram area last few days
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 5, 2020 5:31 pm
  • Updated:January 5, 2020 6:03 pm  

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে ঘিরে ফের বাঘের আতঙ্ক ঝাড়গ্রামে। চাষের জমিতে বড় বড় পায়ের ছাপ গ্রামবাসীদের মনে ফিরিয়ে দিয়েছে লালগড়ের বাঘের স্মৃতি। নতুন আতঙ্কে ঘরবন্দি এলাকার বাসিন্দারা। কোন প্রাণীর পায়ের ছাপ ওইগুলি, তা বুঝতে ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করেছে বনদপ্তর।

বেশ কিছুদিন আতঙ্কে দিন কাটানোর পর ২০১৮ সালের ২ মার্চ লালগড়ের বাসিন্দারা জানতে পেরেছিলেন আদতেই বাঘ রয়েছে সেখানে। জঙ্গলে বনদপ্তরের ট্রাপ ক্যামেরাতে ধরা পড়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। তবে বেশ কিছু গবাদি পশু হত্যার পর মৃত্যু হয়েছিল সেই বাঘটির। সেই ঘটনার পর কয়েক মাস আগে সাঁকারাইলের কয়েকটি গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায় অজানা জন্তু। এরপর রবিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম বনদপ্তরের অধীন বিনপুরের কাঁকো অঞ্চলের লক্ষণপুর গ্রামের চাষের জমিতে বড় বড় পায়ের ছাপে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। অধিকাংশেরই ধারনা যে, অজানা জন্তু নয়, এলাকায় প্রবেশ করেছে দক্ষিণরায়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব মুর্মুর কথায়, “সকালে গ্রামের জামিতে পায়ের ছাপ দেখা যায়। দেখে মনে হচ্ছে বাঘের ছাপ। এর আগে লালগড়ে বাঘ বেড়িয়েছিল। আমরা জানি না কি হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বর্ধমান বিপর্যয় কাণ্ডের তদন্ত করবে IIT খড়গপুর, তৈরি ৩ সদস্যের কমিটি]

তবে বনদপ্তরের আধিকারিকদের কথায়, পায়ের ছাপগুলি জন্তুরই। তবে তা বাঘের কি না সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। পাশপাশি তাঁরা জানান, ছাপ গুলি নেকড়ে বা বনবিড়ালেরও হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, প্রাথমিকভাবে বাঘের পায়ের ছাপ বলে মনে হচ্ছে। ক্যামেরা ট্র্যাপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাতেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। এই এলাকাটি কোর জঙ্গল এলাকা নয়। তাই বাঘের মতো হিংস্র প্রাণীর আগমনে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। তবে ভয় পাবেন না, এটাও বলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিনদুয়েক আগেই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বাঁকুড়ার বারিকুল এলাকায়। সেক্ষেত্রেও বনদপ্তরের আধিকারিকদের অনুমান, ছাপগুলি নেকড়ে বা বনবিড়ালের।

ছবি: প্রতীম মৈত্র

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement