Advertisement
Advertisement

Breaking News

Giriraj Singh

‘বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের কারখানা এরাজ্য’, বারাকপুরে মমতাকে পালটা গিরিরাজ সিংয়ের

বারাকপুর নীলগঞ্জের সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর জুট অ্যান্ড অ্যালাইড ফাইবারস কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে এসে এ বিষয়ে কেন্দ্রেরন ভূমিকা নিয়ে একটুও উচ্চবাচ্য করলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Union Minsiter Giriraj Singh slams Mamata Banerjee over Bangladeshi infiltration
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 2, 2025 8:39 pm
  • Updated:January 2, 2025 8:39 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হিন্দু নির্যাতনের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে এরাজ্যে। অনুপ্রবেশ, সীমান্ত সুরক্ষার মতো গুরুতর ইস্যু নিয়ে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বিএসএফ-কে কার্যত তুলোধোনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিএসএফের ভিতরের লোকজন অনুপ্রবেশে সাহায্য করছেন। এদিন বারাকপুরের সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর জুট অ্যান্ড অ্যালাইড ফাইবারস কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিলেন। তাঁর পালটা অভিযোগ, ”এই রাজ্য এখন বাংলাদেশের থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের কারখানা হয়ে গিয়েছে।”

ওপার বাংলার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ক্রমাগত আক্রমণের অভিযোগে পথে নেমেছেন এপারের বাঙালিরা। নতুন বছরেও ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু জামিন পাননি। চট্টগ্রাম কারাগারে তাঁকে থাকতে হবে। এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নিশ্চুপ কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বারাকপুরে আসা এনিয়ে কোনও মন্তব্য শোনা গেল না কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। উলটে অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন তিনি। বারাকপুর নীলগঞ্জের সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর জুট অ্যান্ড অ্যালাইড ফাইবারস কেন্দ্রে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গিরিরাজ সিং বললেন, “যে কজন বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী ধরা পড়ছে, তাদের আধার কার্ড তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই রাজ্য এখন বাংলাদেশের থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের কারখানা হয়ে গিয়েছে। ভোটের সময় এরাই আবার যেখানেই থাকুক না কেন পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে ভোট দিতে। বাংলাদেশকে এই রাজ্যের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যের।”

Advertisement

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের জুটমিলগুলির ধুঁকতে থাকা পরিস্থিতি নিয়েও এদিন মুখ খুললেন না গিরিরাজ। তবে জুটশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার আলো শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে। তিনি জানালেন, ”কেন্দ্রীয় পাট গবেষণার কেন্দ্রের উদ্যোগে তাদের গবেষণায় এবার থেকে হেক্টর প্রতি প্রায় দ্বিগুণ ফলন হবে। আমরা পাটের ব্যাগের দাম বাড়িয়ে চলতি মরশুমে ১৪ হাজার কোটি টাকার ব্যাগ কিনতে বলেছি। পাটের কাঠি থেকে ইথানল পাওয়া গিয়েছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকে সেটি পাঠানোর পর গুণমান ভালো পাওয়া গিয়েছে। ফলে জুট শিল্পের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।” কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে সদর্থক ভূমিকার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের এগিয়ে আসা উচিত জানিয়ে গিরিরাজ সিংয়ের সংযোজন, “বলেছি জুট ব্যাগের অর্ডার সেই মিলগুলিকেই দিতে যারা সরকারি নিয়মের শ্রমিকদের ইপিএফও নম্বর-সহ সমস্ত সুবিধা দেয়। এর ফলে কৃষক ও জুটমিলই শুধু নয় শ্রমিকদেরও লাভ হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement