শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন দেশের জন্য বয়ে আনতে পারে দুঃসংবাদ। যে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেতে দেশগুলোর কালঘাম ছুটে যায়, সেই হেরিটেজ তকমা খোয়াতে পারে টয়ট্রেন। ১৪০ বছর পুরনো দেশের এই ঐতিহ্যকে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণেই কেড়ে নেওয়া হতে পারে টয়ট্রেনের হেরিটেজ তকমা। সম্প্রতি হেরিটেজ শিরোপা নিয়ে আজারবাইজানে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই ওই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[ আরও পড়ুন: পরকীয়া জানাজানি হওয়ায় প্রেমিক যুগলকে মার, বিবাহিতাকে বিয়ে দিলেন স্থানীয়রা ]
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের কাছে এই নিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে ইউনেস্কো জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টয়ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটিকে দেয়নি ভারতীয় রেল। ক্রমাগত ধস ও পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের আন্দোলনের ফলে মাঝেমধ্যেই ট্রয়ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় এবং সেই লাইনকে সারিয়ে, টয়ট্রেনকে পুনরায় চালাতে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে ভারতীয় রেলকে। ইতিমধ্যেই ইউনেস্কো এক প্রতিনিধিদলকে পাঠিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বলে খবর। এরপর ভারতীয় রেলের কাছে এইডিএইচআর বা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের মুকুটে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা ধরে রাখা এখন চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও ভারতীয় রেল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের বক্তব্য, টয়ট্রেনের লাইনের উপর আবর্জনা ফেলে সেটি নোংরা করে মানুষ। মাঝে মধ্যে লাইনের উপর বসে আড্ডা দেয় তারা। গাড়িও পার্ক করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় টয়ট্রেনের লাইন। তবে হেরিটেজ তকমা ধরে রাখার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তারা ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলবে বলেও জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে।
[ আরও পড়ুন: স্কুলে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, শিক্ষককে অর্ধনগ্ন করে পেটালেন অভিভাবকরা ]
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেনকে হেরিটেজ তকমা দেয় ইউনেস্কো। তারপর থেকে নানা কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে টয়ট্রেন পরিষেবা। ধস, বিক্ষোভ; যে কোনও সমস্যায় আটকে যায় টয়ট্রেন। এই নিয়ে আগেও একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনেস্কো। কিন্তু সরাসরি চিঠি পাঠানো আর সতর্ক করার ঘটনা এই প্রথম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.