Advertisement
Advertisement

‘মাঠ’ টানাটানি, অনিশ্চয়তায় প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগরের সভা

রামনাম না হরিনাম, মাঠ হবে কার?

Uncertainity over Modi's Thakurnagar sabha
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 27, 2019 7:54 pm
  • Updated:January 27, 2019 7:55 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: গেরো যেন কাটছেই না। এরাজ্যে ভোটের প্রচারে আসার পথে পদে পদে বাধা পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রিগেডের সভা বাতিল। জানুয়ারিতে যে’কটা সভা ছিল, সব বাদ। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বনগাঁর ঠাকুরনগরের সভা নিয়েও তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা। এবারও সমস্যার কেন্দ্রে সেই মাঠ। দিল্লি থেকে ২ ফেব্রুয়ারির সভা নিয়ে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির দেবোত্তর সম্পত্তির অংশ শ্রীধাম ময়দান পরিদর্শন করে সভাস্থল হিসেবে নির্বাচিত করে গিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, এখন সেই ঠাকুরবাড়িরই সদস্য, তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, মাঠটি সংকীর্তনের জন্য আগে থেকেই বুক করা আছে। তাহলে, ২ ফেব্রুয়ারি কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে সেখানে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

রামনাম না হরিনাম? ঠাকুরনগরের শ্রীধাম ময়দান কোন ধ্বনিতে মুখরিত হতে চলেছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি? সব ঠিকঠাক থাকলে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে প্রথমবারের মতো পা পড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ইতিমধ্যেই ঠাকুরবাড়ির দেবোত্তর সম্পতির অংশ ঠাকুরনগর শ্রীধাম ময়দানে  প্রধানমন্ত্রির জনসভা হবে বলে ঠিক করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে  জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।  রবিবার নিরাপত্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে এসপিজি-র উচ্চপদস্থ আধিকারিককে নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ওইদিন মতুয়া মহাসংঘের প্রধান বড়মার সঙ্গে দেখা করবেন আলাদাভাবে। নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ, কোনও রাজনৈতিক রং থাকবে না।

Advertisement

mukul roy

                                         গরু খুঁজতে গিয়ে উদ্ধার যুবকের পচাগলা দেহ, চাঞ্চল্য সিউড়িতে

প্রধানমন্ত্রীর সভা এবং মুকুল রায়ের ঠাকুরবাড়ি ঘুরে যাওয়া নিয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির আরেক সদস্য মমতাবালা ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন – ‘‘লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু ২৮ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি মাঠটি বুকিং রয়েছে হরিনাম সংকীর্তনের জন্য।’’ তাঁর আরও বক্তব্য,‘‘মতুয়ারা হরিবোল ধ্বনি উচ্চারণ করে,  অথচ রবিবার যাঁরা ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন, প্রত্যেকের মুখেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শোনা গেছে। যা মোটেই মতুয়াদের পাশে থাকার ইঙ্গিতবাহী নয়।’’ অন্যদিকে, এদিন মতুয়াদের হরিনাম সংকীর্তনের জন্য প্রশাসনিক অনুমতিপত্রের কপিটি  সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছেন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

jyotipriyo

পরিস্থিতি দেখেবুঝে কিছুটা চাপে পড়েছেন মুকুল রায়-সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ঠাকুরবাড়ির মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভার ক্ষেত্রে বাধা আসতে পারে – ধরে নিয়ে বিকল্প জায়গার কথা ভেবেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সেইমতো ঠাকুরনগর হাইস্কুল মাঠটিও রবিবার পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। মাঠের পাশেই হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়। ২ রা ফেব্রুয়ারি শেষপর্যন্ত কোথায় নরেন্দ্র মোদির সভা হবে, তা কিন্তু এখনও অজানা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement