অর্ণব আইচ: অনেকটাই হালকা। কিন্তু কার্যকর। তল্লাশি অভিযানে এবার এই নীল রঙের নতুন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের উপরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশকর্তাদের নির্দেশ, পাহাড় ও জঙ্গলে তল্লাশি অভিযানে যে পুলিশকর্মীরা বের হবেন, তাঁদের প্রত্যেকের পরনেই যেন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থাকে। এ ছাড়াও বুলেটপ্রুফ হেডগিয়ার পরে পুলিশকর্মীদের তল্লাশি অভিযানে যেতে বলছেন পুলিশকর্তারা।
রাজ্যের গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও গুরুংবাহিনীর হাতে রয়েছে বহু মারাত্মক অস্ত্র। দার্জিলিং ও সিকিমের গোপন ডেরায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে অস্ত্রগুলি। যেভাবে হোক নিজেদের বাঁচানোর জন্য পুলিশের সামনে পড়লে ফের গুরুংবাহিনী গুলি চালাতে পারে বলেই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই কারণে আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন পুলিশকর্তারাও।
[সৌজন্যের রাজনীতি, অসুস্থ বুদ্ধদেবকে দেখতে তাঁর বাড়িতে মমতা]
রাজ্যের এক পুলিশকর্তা জানান, পাহাড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার সময় থেকেই যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। গত জুলাই মাসেই দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পর্যাপ্ত সংখ্যার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। তখন থেকেই অভিযানে বের হওয়ার সময় পুলিশবাহিনী বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ব্যবহার করে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, একেকটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের ওজন পাঁচ কিলোগ্রামের বেশি। তার উপর একেকজন পুলিশকর্মীকে বহন করতে হয় অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস। ফলে শরীর অনেকটাই ভারী হয়ে যায়। ওই অবস্থায় সমতলে চলাফেরা করা খুব শক্ত না হলেও পাহাড়ি অঞ্চল ও জঙ্গলের ভিতর তল্লাশি অভিযানে যেতে গেলে অসুবিধার সামনে পড়েন পুলিশকর্মীরা। যদিও নিরাপত্তার খাতিরে বরাবরই তাঁদের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে অভিযানে যেতে বলেন কর্তারা।
এই বিষয়ে আইজি (উত্তরবঙ্গ) মনোজ ভার্মাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, যথেষ্ট সংখ্যার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পাহাড়ে রয়েছে। এমনকী, কোনও কারণে যদি একসঙ্গে শতাধিক পুলিশকর্মীকে অভিযানে যেতে হয়, তবুও প্রত্যেক পুলিশকর্মী বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরতে পারবেন। এ ছাড়াও দার্জিলিংয়ে একশোর উপর বুলেটপ্রুফ হেড গিয়ারও আছে। সম্প্রতি পুলিশকর্মীদের সুবিধার জন্য হালকা ওজনের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট নিয়ে আসা হয়েছে। নীল রঙের ওই জ্যাকেটের ওজন এক কিলোগ্রামের মধ্যেই। হালকা হওয়ার ফলে ওই জ্যাকেট পরে পাহাড় ও জঙ্গলে অভিযান চালানো সহজ। ইতিমধ্যেই এই নতুন জ্যাকেট পরে পুলিশকর্মীরা অভিযানে নেমেও পড়েছেন।
একইসঙ্গে বুলেটপ্রুফ হেড গিয়ার ব্যবহারের উপরও পুলিশকর্তারা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই ধরনের হেড গিয়ার সেনাবাহিনীতেও ব্যবহার করা হয়। গোয়েন্দাদের ধারণা, গুরুং বাহিনীতে কয়েকজন রয়েছে, যারা রাইফেল চালানোয় দক্ষ। তাই পুলিশের মাথা ‘টার্গেট’ করেও ফের গুলি চালানোর চেষ্টা করতে পারে গুরুংবাহিনীর ওই সদস্যরা। তাতেও যাতে পুলিশকর্মীদের সমস্যা না হয়, তার জন্য তাঁদের হেড গিয়ার ব্যবহারের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[কালীপুজোর মণ্ডপে শ্রদ্ধা জানানো হবে শহিদ অমিতাভকে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.