দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফেসবুকের সূত্রেই আলাপ। সময়ের নিয়মে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। ভারচুয়াল জগতের ভরসাতেই বাঙালির প্রেমে পড়েছিলেন বিদেশিনী। হঠাৎ জানতে পারলেন। ভালবাসার মানুষটা অসুস্থ। খবর পেয়ে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি। সুদূর ইউক্রেন থেকেই ছুটে এসেছিলেন হুগলির আরামবাগে। কিন্তু তারপরই হল স্বপ্নভঙ্গ। জানতে পারলেন যাঁর টানে এতদূর থেকে অজানা-অচেনা দেশ থেকে ছুটে এসেছেন, সেই প্রসেনজিৎ কর্মকার আসলে প্রতারক। ইউক্রেনবাসী লোপাচুক নাদিয়ার সঙ্গে ভারচুয়াল জগতে প্রেমালাপ জমিয়ে অ্যাকচুয়াল জগতে অন্য একজনকে বিয়ে করে বসে রয়েছে সে।
[মৃদু কম্পনই ভয়ের, ভূগর্ভে লুকিয়ে বড়সড় ভূমিকম্পের বীজ]
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরামবাগের বাসিন্দা প্রসেনজিতের সঙ্গে ফেসবুকে লোপাচুকের পরিচয় হয়। ক্রমশ দু’জনের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিয়মিত চ্যাট চলত তাঁদের। আচমকা লোপাচুক জানতে পারেন প্রসেনজিতের মারাত্মক অসুখ হয়েছে। খবর পেয়ে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি বিদেশিনী। সাত-পাঁচ না ভেবেই সুদূর ইউক্রেন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় এসে পৌঁছান ২৪ আগস্ট। ২৫ আগস্ট কামারপুকুর হয়ে আরামবাগের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানে রাত কাটান। পরদিন থেকে ওই হোটেলে থেকেই লোপাচুক তাঁর প্রেমিকের খোঁজ করতে থাকেন।
[পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তপ্ত বনগাঁ, কোপানো হল তৃণমূল কর্মীকে]
মঙ্গলবার প্রেমিক প্রসেনজিতের দেখা মেলে। প্রসেনজিৎকে নিয়ে আরামবাগের হোটেলে হাজির হন লোপাচুক। ইতিমধ্যে দু’জনের কথাবার্তা চলাকালীন বিদেশিনী জানতে পারেন, প্রসেনজিৎ বিবাহিত। ১৫ আগস্ট তিনি বিয়ে করেছেন। এরপরই হোটেলের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায় দু’জনের মধ্যে। আশেপাশের বহু মানুষ কৌতূহলের বশে ভিড় করে হোটেলে। শেষপর্যন্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে খবর দেওয়া হয় আরামবাগ থানায়। বিকেলে আরামবাগ থানার পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে লোপাচুককে বুঝিয়ে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পুরো ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ইউক্রেনের বাসিন্দা।
[বারবিশা বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের নাচ কাণ্ডে তদন্তকারী দল গঠন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.