প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাসত: সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। কয়েকটি জায়গায় রাস্তায় আলো কিছুটা কম। এমন আলো-আঁধারি রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন মহিলা। পিছন থেকে বাইকে করে এসে হঠাৎ ছুরি দিয়ে আক্রমণ যুবকের! না কোনও হিন্দি ছবির দৃশ্য নয়, এ ঘটনা ঘোর বাস্তব। ঘটেছে বারাসতের নবীনসেন পল্লী ও পাশ্ববর্তী এলাকায়।
বরিবার হৃদয়পুরের বাসিন্দা ঝুমা সাহা বারাসতের রবিন সেন পল্লী এলাকায় দেওরের ছেলেকে প্রাইভেট টিউশনি থেকে নিতে যাচ্ছিলেন। রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় বাইক করে এসে একজন তার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বুধবার রাতে ওই এলাকায় ফের একই ঘটনা ঘটে। এবারও লক্ষ্য একাকী মহিলা।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বারাসত থানার পুলিশ। দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় একজনই এই দুই ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপর থেকেই সেই এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে একজনকে বাইকে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ কর্মকার। বছর পঞ্চাশের বিশ্বজিৎ আমডাঙা থানার নীলগঞ্জ চারুর হাট এলাকার বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিন ভ্যানের মিস্ত্রি। চারুর হাট মোড়ে তার একটি দোকানও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, পুলিশের প্রাথমিক জেরায় হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ। পর পর হামলার ঘটনায় আহতদের থেকে কোনও কিছু ছিনতাই করা হয়নি। তাই বিকৃত মানসিকতা থেকেই বিশ্বজিৎ দুই মহিলার উপর হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
বারাসত জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি বলেন, “প্রথম ঘটনার আগে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ কর্মকার বারাসতের ওই এলাকার রাস্তাঘাট তিনদিন রেইকি করেছিল। ধৃত ব্যক্তি হামলার দায়ও স্বীকার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও ক্রাইমের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তাকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।” শুক্রবার ধৃতকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। তাকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.