চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: কানের তিন আনা সোনার দুলের জন্য অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হল এক দুধের শিশুকে। তারপর শিশুর দেহ মাদুরে জড়িয়ে পুকুর পাড়ে ফেলে দিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের দেবগ্রামের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আমিনা খাতুন (৩)। বাড়ি কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম থানার পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্ত দেবগ্রামে। আমিনার বাড়ির লোকেরা রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে শেষমেশ প্রতিবেশীর বাড়ির পিছন থেকে দেহ উদ্ধার করে। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ প্রথমে মৃতদেহ কান্দি হাসপাতালে পাঠায়। তারপর তা তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’জনই দেবগ্রামের বাসিন্দা এবং আমিনার প্রতিবেশী। নাম ফাইনূর বিবি ও নাসিমা বিবি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, শিশুর কানের তিন আনা সোনার দুল চুরির জন্য মঙ্গলবার বিকেলে আমিনাকে প্রতিবেশী নাসিমা বিবি ডেকে নিয়ে যায় বাড়িতে। এরপর জা ফাইনুর বিবির সঙ্গে মিলে শিশুর কান থেকে দুটি দুল ছিঁড়ে নেয়। সম্ভবত শিশুটি বলে, পুরো ঘটনা সে বাড়িতে জানিয়ে দেবে। তখনই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মাদুরে জড়িয়ে গভীর রাতে বাড়ির পিছনে ফেলে দেয় নাসিমা ও ফাইনুর।
ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে দেবগ্রামজুড়ে। মৃত শিশু আমিনা খাতুনের বাবা সালামের অভিযোগ, “আমাদের দুই প্রতিবেশী ফাইনুর বিবি ও নাসিমা বিবির বহুদিন ধরেই আমার মেয়ের কানের দুলের প্রতি নজর ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে দাদুর বাড়ি বেড়াতে যায়। পথেই কোথাও ওরা ওকে অপহরণ করে। রাত পর্যন্ত খুঁজে গ্রামেরই বাসিন্দা জিয়াফত শেখের বাড়ির পিছন থেকে ওর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেখা যায় মেয়ের কানের দুল নেই। রক্ত পড়ছে কান থেকে। পুরো ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি। আমার মেয়ের খুনিদের সাজা চাই।” ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.