নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ফের রাজ্যে ডেঙ্গুর বলি আরও ২। শনিবার সকালে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে গাইঘাটার বাসিন্দা দুই মহিলার। জানা গিয়েছে, দু’জনের ডেথ সার্টিফিকেটেই মৃত্যুর কারণ হিসেব ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। ডেঙ্গু রোধে পঞ্চায়েতের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
মাস দুয়েক ধরে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সমগ্র এলাকায় নিয়মিত সাফাইয়ের পাশাপাশি ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু তাতে কার্যত কোনও কাজই হচ্ছে না। ক্রমাগত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গুর পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অজানা জ্বরও। অনেকক্ষেত্রেই জ্বরের কারণ নির্ণয় করার আগেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীর। ফের গাইঘাটায় মৃত্যু হল ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই মহিলার।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ইছাপুরের বাসিন্দা সাধনা সরকার। হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সেখানেই মৃত্যু হয় সাধনাদেবীর। অন্যদিকে, বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন গাইঘাটার আরেক বাসিন্দা রেনুকা মণ্ডল। তেঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শুক্রবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁরও। তাঁদের দুজনেরই ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গুরই উল্লেখ রয়েছে।
এই প্রথম নয়, এবছর ডেঙ্গুতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ চত্বরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেঙ্গু নিধনে প্রথম থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি পঞ্চায়েত। সেই কারণেই কার্যত মহামারির আকার নিয়েছে ডেঙ্গু। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত এলাকা পরিস্কার ও মশা মারার স্প্রে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.