ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর! করোনা সংক্রমণে নাজেহাল বিশ্বের কাছে এবার আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন বা মিউটেশন। এহেন পরিস্থিতিতে চিন্তা বাড়িয়ে লন্ডন থেকে রাজ্যে ফেরত দুই ব্যক্তির শরীরের করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, লন্ডন ফেরত করোনা আক্রান্তদের মধ্যে একজন কলকাতার রাজডাঙার বাসিন্দা। অন্যজনের বাড়ি হুগলিতে। ইতিমধ্যে রাজডাঙার ওই তরুণকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর লালারস থেকে আরএনএ সংগ্রহ করে করোনার নয়া স্ট্রেনের খোঁজে তা কল্যাণীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স-এ (National Institute of Biomedical Genomics) পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে অন্তত সাত দিন লাগবে বলে খবর। স্বাস্থ্যদপ্তরের নিয়ম মেনে, ওই দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার উপরও নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এক ব্যক্তির শরীরের মিউট্যান্ট করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আরও দুই লন্ডন ফেরতের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ হয়ে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে। গত ১৫ দিনে লন্ডন ফেরত সংক্রমিত তরুণের সংস্পর্শে এসেছেন অন্তত ৫৯০ জন। ইতিমধ্যে ‘কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং'(Contact Tracing) -এর মাধ্যমে তাঁদের চিহ্নিত করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁদের। এদের মধ্যে ২২০ জনের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতার এক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষর ছেলের শরীরে নতুন স্ট্রেন পাওয়া যায়। ক’দিন আগেই ওই তরুণ লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরেন। ওই অধ্যক্ষ-সহ পরিবারের সদস্যদের উপর নজর রাখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এরপরই তাঁর জেনেমিক স্টাডি করাতে নমুনা দিল্লিতে পাঠানো হয়। ও যুবককে মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়। এই গোটা বিষয়টি রিপোর্ট আকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ব্রিটেনের প্রাপ্ত করোনার এই নয়া স্ট্রেন আগেরটির চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এর মৃত্যুহার বেশি না হলেও সংক্রমণ হার অনেকটাই বেশি। সেই সংক্রমণ এড়াতে আটঘাঁট বাঁধছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.