স্টাফ রিপোর্টার: ট্রেনে বৃহন্নলাদের দৌরাত্ম্য ও অশালীনতা দেখে চক্ষু ছানাবড়া রেল বোর্ডের কর্তাদের। তাঁরা এতটাই বিমর্ষ বোধ করেন, যে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) আরপিএফকে (RPF) এক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত বৃহন্নলাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারে অক্ষম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে রেলকর্মীদের বিরুদ্ধেই। রেল বোর্ডের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুই বৃহন্নলাকে। ধৃতদের মধ্যে কৃষ্ণনগর দোগাছির বাসিন্দা সাগর সরকার অন্যজন রেজিনগরের বিকাল নগরের নাসিম শেখ।
বুধবার দুপুর ১১.২২ মিনিট নাগাদ কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলাগামী প্যাসেঞ্জাররা ট্রেনের মধ্যে দুই বৃহন্নলার কর্মকাণ্ড মোবাইল বন্দি করা হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কুৎসিৎ অঙ্গভঙ্গি করে যাত্রীদের বিরক্তের পাশাপাশি শরীরের পোশাক খুলে ফেলছে ভিড়ের মধ্যেই। অশালীন এই আচরণের ভিডিও তুলে যাত্রীরা রেল বোর্ডে অভিযোগ করেন। যা দেখে রীতিমতো ভিরমি খান রেল বোর্ডের কর্তারা। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ দেয় পূর্ব রেলের আরপিএফকে।
এর পরই কৃষ্ণনগর থেকে আরপিএফের একাধিক টিম ভাগ হয়ে বিভিন্ন ট্রেনে হানা দেয়। যে ট্রেন থেকে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ডাউন ট্রেনেই কৃষ্ণনগরে ফিরে আসে দুই বৃহন্নলা। এরপরই আরপিএফ বাহিনী দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তদের ভিডিওর সঙ্গে দু’জন মিলে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের ছবি দিয়ে রেলবোর্ডে বিযয়টি জানিয়ে দেয় পূর্ব রেলের আরপিএফ বিভাগ। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরম শিব জানিয়েছেন, গত পুজোর সময় কয়েক মাস বৃহন্নলাদের অত্যাচার নিয়ে রেল মদতে প্রচুর অভিযোগ এসেছিল। এরপর লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনে রেড করে শুধু ডিসেম্বর মাসেই ১১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আরপিএফ। এরপর অত্যাচার কিছুটা কমেছে। তবে এধরনের কোনওরকম আচরণ বরদাস্ত করা যাবে না।
পরম শিব আরও বলেন, সব আরপিএফ পোস্টকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে লোকাল বা দূরপাল্লা কোনও ট্রেনেই এরা চড়তে না পারে। যাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা সব বড় স্টেশন থেকে এরা ট্রেনে চড়ে। আচরণ খারাপের আশঙ্কায় রেলকর্মীরাই এদের এড়িয়ে চলেন। তবে অনেক যাত্রী আছেন যাঁরা আবার এদের উৎসাহিত করেন এবং টাকাও দেন। এই ধরনের যাত্রীদেরও সচেতন করেছে আরপিএফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.