সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কালীপুজোর সকালে বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানোর সাক্ষী রইল বর্ধমান। একটি মালগাড়ির পিছনে চলে এসেছিল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালই এযাত্রা বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করল। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত থাকলেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। কিছুক্ষণের জন্য বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি যাত্রীদের সমস্যার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৫৫ নাগাদ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মালগাড়ি হুগলির গুড়াপ স্টেশন পার হওয়ার পর তার ইঞ্জিনটিতে ত্রুটি ধরা পড়ে। গুড়াপ ও জৌগ্রাম স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ট্রেনটি থেমে যায়। গুড়াপ স্টেশনে মালগাড়ির ইঞ্জিনে ত্রুটির জন্য এই লাইনে ট্রেন চলাচলে বিলম্ব ঘটে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এই খবর পাওয়ার পর পূর্ব রেলওয়ে সঙ্গে সঙ্গে একটি উদ্ধারকারী ইঞ্জিন মশাগ্রাম থেকে ১১টা ৩৬ নাগাদ সেখানো পাঠানো হয়। জৌগ্রাম স্টেশনে দুপুর ১২টা ১০-এ তা পৌঁছয়।
এদিকে, ইঞ্জিন বিকল হওয়া মালগাড়ির পিছনে একই লাইনে এসে পড়ে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। কিন্তু এই লাইনের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল সক্রিয় থাকায় তা জানান দেয় এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটি নিরাপদ দূরত্বে থেমে যায়। প্রায় ১১টা থেকে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস থমকে যায়। যাত্রীরা সমস্যার মুখে পড়েন। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার ফলে অনেকে ট্রেন থেকে নেমেও পড়েন। এক যাত্রীর কথায়, ”সিগন্যালের সমস্যা ছিল। সবুজের বদলে লাল সিগন্যাল দেওয়া দরকার ছিল। সামনেই একটা মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। আরেকটু হলে বড় দুর্ঘটনাই ঘটত। তবে আমাদের ট্রেনের চালক সময়মতো ট্রেন থামিয়ে দিতে পেরেছেন। তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ। রাতে এই ঘটনা ঘটলে রক্ষা পেতাম না মনে হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.