সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: গ্রামে রাত কাটালেন জেলার দুই তৃণমূল বিধায়ক। বাড়ি-বাড়ি ঘুরলেন মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতিও। ‘দিদিকে বলো’-ই শুধু নয়, জনসংযোগ আরও মজবুত করতে গণপ্রচার কর্মসূচিতেও শামিল হয়েছেন শাসকদলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে প্রত্যন্ত গ্রামে রাত কাটানোর বিষয়টি অনেক বিধায়কই এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকী, অনেক জনপ্রতিনিধি আবার গণপ্রচার কর্মসূচিতে সেভাবে অংশ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
শনিবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের সুপুডি গ্রামে রাত কাটান স্থানীয় বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন। তাঁর সঙ্গে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত ওই গ্রামেই ছিলেন বিধায়কের স্ত্রী প্রতিমা সরেনও। তিনি আবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বটে। জয়পুরের বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো রাতে ছিলেন ঝালদা দুই নম্বর ব্লকের চিতমু গ্রামে। রবিবার পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের ডিমডিহা গ্রামে যান পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। রীতিমতো কাদা মাড়িয়ে বাড়ি বাড়ি সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছেন মন্ত্রী। শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘অভিনব কর্মসূচি নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে।’ তবে গণপ্রচারে গিয়ে অবশ্য সাধারণ মানুষের না পাওয়া ও বঞ্চনার কথাই শুনতে হয় তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা ও মন্ত্রীদের।
তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ও দলের স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে বান্দোয়ানে সুপুডি গ্রামে গিয়েছিলেন বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন ও তাঁর স্ত্রী তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি প্রতিমা সরেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের সঙ্গেই কথা বলেন বিধায়ক। সমস্যা তালিকাভুক্ত করে সমাধানেরও আশ্বাস দেন। রাতে গ্রামেরই একটি বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি। মধ্যরাতে ফিরে যান সহ-সভাপতি। তবে রাতে সুপুডি গ্রামেই ছিলেন বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন। সকালে গ্রামে দলের পতাকা তুলে কর্মসূচি শেষ করেন তিনি।
ছবি: অমিত সিং দেও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.