নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বনগাঁ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্পা মহান্তি৷ যোগ দিয়েছিলেন আরও দুই কাউন্সিলর৷ আর ওই মহিলা কাউন্সিলরকে অপহরণের অভিযোগ উঠল বাকি দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। কোনওক্রমে অভিযুক্তদের ডেরা থেকে পালিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন শম্পা মহান্তি। নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই ওই মহিলার বাড়ির বাইরে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গোটা ঘটনাটি তৃণমূলের চক্রান্ত।
বনগাঁ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্পা মোহান্তি। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁ পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যেই একজন তিনি। অভিযোগ, ২৯ জুন বনগাঁ পুরসভার অপর ২ কাউন্সিলর যারা সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক জায়গায় আটকে রাখে শম্পাদেবীকে। এরপর তাঁর বাড়িতে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
ওই মহিলার স্বামী ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তাঁকেও আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ১১ জুলাই রাতে কোনওক্রমে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের ডেরা থেকে পালাতে সক্ষম হন ওই মহিলা। এরপর ১২ জুলাই বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার খাতিরে মহিলার বাড়ির সামনে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে বনগাঁ থানার তরফে।
হাই কোর্টের নির্দেশে আগামী মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা ভোট। এদিনের ভোটাভুটিতে পুরবোর্ড গঠন করবে বলে আশাবাদী বিজেপি। তাঁর আগে বিজেপি কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ দুই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধেই ওঠার ঘটনা একেবারেই তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলেও, এই মুহূ্র্তে শম্পা দেবী কোথায় রয়েছেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনার জেরে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.