স্টাফ রিপোর্টার : ভোটের লক্ষ্যে বাসিন্দাদের সহানুভূতি কুড়াতে নিজের দলের রাজ্য সরকার ও পুরসভার বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ-অবরোধে নামালেন তৃণমূলের দুই চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল (সিআইসি)। শুধু তাই নয়, সোনারপুরে এই অবরোধ তুলতে গেলে ওই তৃণমূল কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ইটের ঘায়ে মাথা ফেটেছে এক পুলিশ অফিসারের। জখম হলেন আরও পাঁচজন পুলিশকর্মী। অবরোধকারীরা পুলিশকে তাড়াও করে। পরে সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ এবং র্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অবরোধকারীদের অভিযোগ, পুলিশই জনতাকে সরানোর নামে লাঠিচার্জ করেছে।
রাজপুর—সোনারপুর পুরসভার ওই দুই অভিযুক্ত সিআইসি হলেন কার্তিক বিশ্বাস এবং রণজিৎ মন্ডল। যদিও দু’জনে নিজে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ না দেখালেও পিছনে মদত ও উস্কানি দিয়েছেন বলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম। দলের দুই সিনিয়র নেতা ও সিআইসির এমন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সোনারপুরের পুরপ্রধান পল্লব দাস। তিনি জানিয়েছেন, “দলের দুই সিআইসির মদতে এমন অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়েছে বলে আমিও শুনেছি। দলীয় স্তরের পাশাপাশি পুরসভার আধিকারিকদের ঘটনাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।” নিজেদের ওয়ার্ডের সক্রিয় তৃণমূ্ল কর্মীরা বিক্ষোভ সামিল হলেও রণজিৎ মন্ডল ও কার্তিক বিশ্বাস এমন অবরোধে মদতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সোনারপুর-কামালগাজি রোড অবরোধের জেরে বুধবার সকাল আটটা থেকে দক্ষিণ শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল। অবরোধ তুলতে গেলে বচসা বাধে। জনতা—পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এমনকী, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াও হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত বেলা বারোটা নাগাদ অবরোধ ওঠে। জানা গিয়েছে, বর্ষায় রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার ১৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের জমা জল ৭ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ছে। আর তাতেই এলাকা প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ভুগছেন। পাশাপাশি মূল রাস্তাটি দীর্ঘ তিন বছর ধরে বেহাল। জল জমছে, কর্দমাক্ত হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.