ছবি: প্রতিম মৈত্র।
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: আর জি করের নৃশংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। ঠিক সেই সময়েই পুলিশি তৎপরতার ছবি দেখা গেল প্রান্তিক জেলা ঝাড়গ্রামে। অভিযোগ পাওয়ার কয়েকঘন্টার মধ্যেই দিঘা থেকে দুই নাবালিকে উদ্ধার করে পরিবারকে স্বস্তি দিল ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। তারা ভালো আছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিমানবশত বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহরের দুই বান্ধবী বাড়ির কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যায়। এই দুই নাবালিকা বান্ধবী। খবর পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, দুই বান্ধবী ভিডিও করে আত্মহত্যার (attempt to suicide) কথাও বাড়িতে জানিয়েছিল। জানা গিয়েছে, প্রণয়ঘটিত কোনও কারণে তাদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথাকাটি হয়েছিল। তাতেই অভিমান করে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ছাড়ে। তারা বাড়ি থেকে পালানোর পর পরিবারের লোকজন নিজেদের মতো করে খোঁজখবর করতে থাকে। কিন্তু খুঁজে না পেয়ে ওই দিন রাত দশটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে।
ঝাড়গ্রাম থানার আইসির নেতৃত্বে টিম গঠন করে দুই নাবালিকার (Teenagers) পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে খোঁজ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, নাবালিকাদের ফোনের টাওয়ার লোকেশন প্রথমে পাওয়া যায় খড়্গপুর স্টেশনে। সেখান থেকে আবার টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় দিঘায় (Digha)। সেই সূত্র ধরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দিঘার একটি জায়গা থেকে ওই দুই নাবালিকে উদ্ধার (Rescue) করে। শুক্রবার শিশু কল্যাণ কমিটির মাধ্যমে তাদের একটি সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। মেয়েদের ফিরে পেয়ে পরিবার দুটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে পুলিশকে।
এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন “দুই নাবালিকা বাড়ি থেকে অভিমান করে চলে গিয়েছিল। আমারা শুনেছিলাম তারা আত্মহত্যা করবে, এমন ভিডিও পাঠিয়েছিল। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে। টাওয়ার লোকেশন ধরে তাদের দিঘা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.