ঘটনার পর স্কুলে তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পড়ুয়াদের হাজিরা খাতা নিয়ে ঝামেলা। আর তার থেকে শিক্ষাঙ্গনে পড়ুয়াদের সামনেই দুই শিক্ষকের বচসা থেকে হাতাহাতি। ঘটনায় অভিযোগ গড়াল শিক্ষাদপ্তর পর্যন্ত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছুটে গেল পুলিশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার বলরামপুর শ্যাননগর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনায় দুই শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবক থেকে শিক্ষামহল। মিড ডে মিলের হিসাব চাওয়া থেকেই বিবাদ! সেই চর্চাও শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে স্কুল চলাকালীন দুই শিক্ষক বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ মাহাতোর কাছে পড়ুয়াদের হাজিরার খাতা চেয়েছিলেন। তখন হরেকৃষ্ণবাবু তাঁকে বলেন, “তাহলে মিড ডে মিলের রান্নার কাজটি তোমাকেই করতে হবে।” এই নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকেই দুজনে জোর ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। স্কুলের পড়ুয়াদের সামনেই চলে ওই মারামারি। স্থানীয়রাও ওই স্কুলে পৌঁছে যান। শিক্ষকদের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁরা।
প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ মাহাতো বলেন, “আমি স্কুলে গিয়ে আজ মিড ডে মিলের রান্নার কাজে তদারকি শুরু করি। সেই সময় আমার সহকারী শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস আমাকে আজকের উপস্থিতির খাতাটি চেয়ে জানতে চান কতজন এসেছে। তখন আমি ওকেই বলি, তাহলে রান্নার দায়িত্ব তুমিই নাও। তখন উত্তেজিত হলে সে আমার উপর চড়াও হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমিও আত্মরক্ষা করতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ি।কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে স্থানীয় কয়েকজনকে ডেকে এনে আমার উপর চড়াও হয়।” বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে বলরামপুর সার্কেলের স্কুল পরিদর্শককে জানান। সার্কেলের স্কুল পরিদর্শকই থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
বুদ্ধেশ্বর দাস ঘটনায় বিদ্যালয় পরিদর্শককে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, স্কুলে বর্তমানে ৮২ জন পড়ুয়া রয়েছে। তিনজন শিক্ষক কর্মরত। এই বিষয়ে বলরামপুর চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক সেবা মাহাতো বলেন, “ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.