Advertisement
Advertisement
সুপারি কিলার

ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা খুনে মহিলা প্রমোটার যোগ, ২ সুপারি কিলারের গ্রেপ্তারিতে ফাঁস রহস্য

মূল দুই অভিযুক্তের খোঁজে এখনও চলছে তল্লাশি।

Two supari killer arrested in Bandle TMC leader murder case
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 24, 2019 5:28 pm
  • Updated:August 24, 2019 5:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে খুনের ঘটনায় নাম জড়াল এলাকারই এক মহিলা প্রমোটার শকুন্তলা যাদবের। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই শকুন্তলার ছেলে মঙ্গল যাদব ও ২ সুপারি কিলার মহম্মদ নাসিম ও বৈজুনাথ রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগেই অর্জুন সিংহ ও সঞ্জয় মিশ্র নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

[আরও পড়ুন:হুকিং করে মেলায় বিদ্যুৎ চুরি, কাজ করতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত ১]

গত ২৯ জুন, সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। মাথার পিছনে গুলি লাগে তাঁর। গুলির শব্দে আশেপাশের লোকজন যখন ছুটে যেতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রাই ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কলকাতা নিয়ে আসার পথে শ্রীরামপুরের কাছে মৃত্যু হয় দিলীপ রামের।

Advertisement

ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা। খুনের ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি করেন মৃতের স্ত্রী ও দলীয় কর্মীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে। নিহতের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল আততায়ীরা। এমনকী, ঘটনাস্থলে রেইকিও করে গিয়েছিল তারা। ঘটনার সঙ্গে ভিনরাজ্যের যোগসূত্রও পেয়েছিল পুলিশ।

চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আগেই অর্জুন সিংহ ও সঞ্জয় মিশ্র নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে মহম্মদ নাসিম ও বৈজুনাথ রায়ের কোনও যোগসাজশ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, এই খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও কয়েকজন সুপারি কিলার। তাদের অন্যতম অভিযুক্ত বিজু পাসোয়ান এখনও ফেরার। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে শনিবার দুটি ওয়ান শটার ও একটি ৭এমএম পিস্তল, কয়েক রাউন্ড কার্তুজ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন:মিড-ডে মিলে পোকা! তেহট্টে ঘটনার প্রতিবাদে খাবার বয়কট অধিকাংশ পড়ুয়ার]

পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন দিলীপ রাম বাড়ি থেকে বেরনোর পরই তাঁর উপর নজর রাখছিল বৈজুনাথ। নাসিমকে সে ফোনে দিলীপ রামের গতিবিধি ও অবস্থান জানাচ্ছিল। আর ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় অপেক্ষা করছিল নাসিম। দিলীপ রাম স্টেশনের কাছে আসতেই, অন্যান্য সহযাত্রীদের সঙ্গে মিশে পিছু নেয় তাঁর। এরপর পিছন দিক থেকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দিলীপ রামকে। এখন মূল অভিযুক্ত শকুন্তলা ও বিজু পাসোয়ানের গ্রেপ্তারির অপেক্ষায় মৃতের পরিবার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement