Advertisement
Advertisement

আবাসিক স্কুলে আত্মহত্যার চেষ্টা দুই ছাত্রীর, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

Two student attempt to suicide
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 11, 2019 11:48 am
  • Updated:January 11, 2019 4:51 pm  

রিন্টু ব্রহ্ম,কালনা: আবাসিক স্কুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা সপ্তম শ্রেণীর মূক ও বধির দুই ছাত্রীর। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মধ্যে একজনের অবস্থায় সংকটজনক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা-২ নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর বিকাশভারতী প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্রে। ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। তবে কী কারণে ওই দুই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷

[বন্ধ মদের দোকান খুলতে গিয়ে মহিলাদের তাড়া খেলেন কাউন্সিলর]

জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর ওই দুই ছাত্রীর একজনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। অন্যজনের বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলে। দু’জনই ৫-৬ বছর বয়স থেকেই এই আবাসিক স্কুলে রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ স্কুলের পড়া শেষ হয়। তারপর ছাত্রীরা দোতলায় গিয়ে পোশাক বদল করে আবার নিচে নেমে আসে প্রতিদিন। এদিনও তারা পোশাক বদল করতে যায়। সেই সময় কয়েকজন ছাত্রী জানালা দিয়ে দেখতে পায় ওই দু’জন ডাইনিং টেবিলে উঠে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে৷ তারা দৌড়ে গিয়ে ছাত্রীদের উদ্ধার করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীদের কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ছাত্রী কালনা মহকুমা হাসপাতালেই ভরতি রয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। অন্য জনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় বাড়ির লোকজন তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেছে।

Advertisement

[হাসপাতালে ‘বদল’ সদ্যোজাত, কাঠগড়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল]

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এদিন সহপাঠীদের সঙ্গে কোনও কারণে মনোমালিন্য হয়েছিল দু’জনে। সেই কারণেই ছাত্রীরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে কী না বুঝতে পারছি না। তবে আমরা চাইছি ওরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। খবর পেয়ে এদিন কালনা মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান কালনা-২ ব্লকের বিডিও মিলন দেবঘড়িয়া। তিনি বলেন, “দুই ছাত্রী হাসপাতালে ভরতির খবর পেয়েই চলে এসেছি। চিকিৎসা চলছে। কেন এমন ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।” কালনা থানার ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাসপাতালে যান। ছাত্রীরা সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানান তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement