সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে দুই পুলিশ আধিকারিকের ডানা ছাঁটল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করার পাশপাশি আরেকটি ঘটনায় আরও এক পুলিশ আধিকারিকের ‘শাস্তি’ হিসাবে পদাবনতি হয়েছে। তাঁকে অ্যাসিন্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনস্টেবল পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে ‘ঘুষ’ নেওয়ার প্রমাণ মেলার পরই গত মঙ্গলবারই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় পুরুলিয়া জেলা পুলিশ মহল। পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, “তদন্ত গাফিলতি এবং পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।” পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন শুভঙ্কর সরকার ও অ্যাসিন্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদে মোহন সামন্ত। শুভঙ্কর সরকার পুরুলিয়া সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মোহন সামন্তের কর্মস্থল ছিল ঝালদা থানা। জানা গিয়েছে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর পরই মোহনবাবু কনস্টেবল থেকে অ্যাসিন্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর হন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে শহর পুরুলিয়ার একটি হোটেলের এক কর্মীকে বন্দুক দেখিয়ে খুনের হুমকি দেন পানশালায় আসা একজন। তারপর পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ, এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিক শুভঙ্কর সরকার কিছু টাকা-পয়সা লেনদেন করেন। এই বিষয়টি পুরুলিয়া জেলা পুলিশের নজরে পড়তেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে।
অন্যদিকে, গত ৯ জুন একটি পর্যটকের দল রাঁচি থেকে একটি গাড়িতে করে অযোধ্যা পাহাড়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ঝালদা থানা এলাকার কর্মাডিতে রাস্তায় বালি থাকার জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গাড়িটি উলটে যায়। তখন ঘটনাস্থলে যান মোহন সামন্ত। তিনি গাড়িটি তোলার জন্য ওই পর্যটকের দলের কাছে পঁচিশ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু পর্যটকের দল দশ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু বাকি টাকা না পাওয়ায় গাড়ির নথিপত্র গুলি ওই পুলিশ অফিসার নিজের কাছে রেখে নেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অনিশ জৈন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল।
ছবি: সুনীতা সিং
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.