শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: টানা প্রায় ২০ মাস করোনা আবহের (Coronavirus) জেরে বন্ধ ছিল স্কুল। মহামারী আতঙ্ক কাটিয়ে ১৬ তারিখ থেকে রাজ্যে সমস্ত স্কুল, কলেজ খুলেছে। স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার আনন্দে মশগুল ছাএছাএীরা। কিন্তু স্কুল খোলার তৃতীয় দিনই ক্লাস করতে গিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন পড়ুয়ারা। স্কুলে গিয়ে বিশালাকৃতি বিষধর সাপ দেখে আতঙ্ক ছড়াল সামশেরগঞ্জের (Samserganj) ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল চত্বরে সাপ দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক মহলে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় রঘুনাথগঞ্জ বনদপ্তরে। বনকর্মীরা গিয়ে একটি নয়, জোড়া সাপ (Snake)উদ্ধার করেন।
জঙ্গিপুর মহকুমার অধিকাংশ স্কুলেই উপস্থিতির হার পঁয়ত্রিশ শতাংশের নীচে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় খোলার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল প্রাঙ্গণে বাসা বেঁড়েছে বিষধর সরীসৃপ। এদিন কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনের পুরাতন ভবনের পিছনে একটি বিশালাকৃতি বিষধর সাপ দেখতে পায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিকুল ইসলাম। তা দেখে ভয়ে চিৎকার করে সে। অসিকুলের চিৎকারে ছুটে আসেন শিক্ষকরা। স্কুলে সাপের খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরের কর্মীদের। ঘটনাস্থলে গিয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা দুটি বিশালাকৃতি বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করেন।
রঘুনাথগঞ্জের বনদপ্তরের (Forest department) আধিকারিক ইরফান আলি বলেন, ”স্কুলের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি জীবিত সাপ উদ্ধার করেছি। সাপ দুটিকে ফরাক্কার বাগদাবড়া ফরেস্টে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” ফরাক্কার বাগদাবড়া ফরেস্টের বিট আধিকারিক প্রভাসচন্দ্র মণ্ডল জানান, উদ্ধার হওয়া দুটি চন্দ্রবোড়া সাপ পূর্ণবয়স্ক। একটি লম্বায় পৌনে চার ফুট। অপরটি সাড়ে পাঁচ ফুট। স্কুল চত্বরে আরও কোনও চন্দ্রবোড়া বাসা বেঁধে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর।
কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনের প্ৰধান শিক্ষক আবদুল হাই মাসুদ রানা রহমানের কথায়, ”স্কুল বন্ধ থাকার কারণে নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এখানেই সাপ দুটি ছিল বলে অনেকের ধারণা। এতদিন নজরে পড়েনি। আজ সাপটি দেখে সবার নজরে এসেছে। স্বাভাবিক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য ও সাপের বেঁচে থাকা সুনিশ্চিত করতে বনদপ্তরে খবর দিই। বনদপ্তরের কর্মীরা এসে দুটি সাপ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.