দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ত্রিপল চাওয়া ঘিরে অশান্তিতে ধুন্ধুমার হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের বিডিও (BDO) অফিস। ব্লকের বিপর্যয় বিভাগের আধিকারিককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে অফিসের মধ্যেই চলে মারধর। তাঁদের থামাতে সহকর্মীদের রীতিমতো বেগ পেতে হয়। শনিবার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ হালদার এবং বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ স্বপন মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল? শুক্রবার রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলাগড়ের (Balagarh) সবুজ দ্বীপ পরিদর্শনে যান। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এই মনোরম এলাকাটিকে যুক্ত করা হয়েছে সদ্যই। তাই সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। ওই দিন দুই কর্মাধ্যক্ষ বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের আধিকারিক সুমন্ত দে’র কাছে ত্রিপল চাইতে যান। সুমন্তবাবুর মন্ত্রীর সঙ্গে সবুজ দ্বীপ যাওয়ার কর্মসূচি থাকায় তিনি দুই কর্মাধ্যক্ষকে বিকেলে যেতে বলেন। এরপর মন্ত্রীর সঙ্গে সবুজ দ্বীপ পরিদর্শন শেষে বিকেলে দপ্তরে ফিরে আসেন সুমন্ত দে।
আর তারপরই ঘটে বিপত্তি। বিকেলে দুই কর্মাধ্যক্ষ ফের কার্যালয়ে এসে সুমন্তবাবুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, দুই কর্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ হালদার ও স্বপন মণ্ডল অকথ্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করেন, মারধরও করা হয়। শনিবার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই দুই কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তৃণমূলের (TMC) অন্দরেই এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
এই বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, ”এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ আইন মাফিক ব্যবস্থা নেবে।” বিজেপির (BJP) হুগলি সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ কটাক্ষ করে বলেন, ”এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।” এদিকে বলাগড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও শনিবার সন্ধে পর্যন্ত অভিযুক্তরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.