রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে শকুনের জন্য তৈরি হচ্ছে আরও দু’টি কলোনি। ১০০ ফুট লম্বা ও ৪০ ফুট চওড়া দু’টি কলোনি তৈরি করছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এই দু’টি কলোনিতে আরও ৬০টি শকুন থাকতে পারবে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আরও বেশি সংখ্যায় শকুনের প্রজননের সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতরে রাজাভাতখাওয়ায় শকুন প্রজনন কেন্দ্রের উন্নয়নে এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সেই টাকায় এই প্রজনন কেন্দ্রের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই শকুন প্রজনন কেন্দ্রে দু’টি নতুন কলোনি তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রজনন কেন্দ্রে আগে থেকেই শকুনদের জন্য দু’টি কলোনি ছিল। একই মাপের আরও নতুন দু’টি কলোনি তৈরি করা হচ্ছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা কল্যাণ রাই বলেন, “আরও বেশি শকুন রাখার জন্য নতুন এই দু’টি ঘর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে দু’টি কলোনি তৈরি করছি। খুব তাড়াতাড়ি এই কলোনি তৈরির কাজ শুরু করব।”
[অরণ্যের দরজা যেখানে খোলা, প্রকৃতির মাঝে হারানোর ঠিকানা দুয়ারসিনি]
২০০৫ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। রাজ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিলুপ্তপ্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়। খুশির খবর, বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে স্ল্যান্ডার বিল্ড, লং বিল্ড এবং হোয়াইট ব্যাক বিল্ড, এই তিন প্রজাতির মোট ১১৪টি শকুন রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি শকুন এই কেন্দ্রেই জন্মগ্রহণ করেছে। বাকি ৬৪টি শকুন বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ২০০৮-’০৯ সালে এই কেন্দ্রে স্ল্যান্ডার বিল্ড শকুনের ব্রিডিং করিয়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছিল রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র। সেটাই বিশ্বে প্রথম স্ল্যান্ডার বিল্ড প্রজাতির শকুনের কৃত্রিমভাবে জন্ম হয়েছিল বলে দাবি করেছিল বম্বে ন্যাচরাল হিস্ট্রি সোসাইটি।
[পরিযায়ীদের আস্তানা হিসেবে সেজে উঠবে মালদহের বড় সাগরদিঘি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.