চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কাঠুয়া গণধর্ষণের রেশ এখনও টাটকা। এরই মধ্যে আসানসোল জেলায় দুই শিশুকন্যার যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটল। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে সোমবার রাতে। কুলটি থানার নিয়ামতপুরে চার বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই নাবালক। এদিনই আবার লছিপুর সংলগ্ন ব্রহ্মচারিস্থানে আট বছরের শিশুকন্যাকে নিগ্রহ করে প্রতিবেশী যুবক।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে চার বছরের ওই শিশুকন্যাকে নিয়ামতপুরের নিউ রোডের কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় ওই দুই নাবালক। সেখানেই তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। কোনওমতে তাদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচে শিশুকন্যা। বাড়ি ফিরেই মাকে সমস্ত কিছু জানিয়ে দেয়। মেয়ের কাছে সমস্তকিছু শুনে একমুহূর্ত দেরি করেননি মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন রাতেই ১৪ ও ১৫ বছরের দুই নাবালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে দু’জনকে বর্ধমানের জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়।
[কাঠুয়া গণধর্ষণ: নিজেদের নির্দোষ দাবি করে নার্কো টেস্টের আরজি অভিযুক্তদের]
এদিকে কুলটির লছিপুর সংলগ্ন ব্রহ্মচারিস্থানে আট বছরের শিশুকন্যাকে নিগ্রহ করে সুমিত কাপুরিয়া নামের যুবক। জানা গিয়েছে, বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশুকন্যাকে নিজের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় প্রতিবেশী ওই যুবক। যাকে শিশুকন্যা কাকু বলে ডাকত। ফাঁকা বাড়িতে শিশুকন্যার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে সুমিত। এরই মধ্যে মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে যুবকের বাড়ি পৌঁছে যান শিশুকন্যার মা। হাতেনাতে সুমিতকে ধরে ফেলেন তিনি। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এমনিতেই কাঠুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের জেরে উত্তাল গোটা দেশ। সে ঘটনাতেও নির্যাতিতার বয়স ছিল আট বছর। শিশুকন্যাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই উঠেছে #JusticeForAsifa স্লোগান। কিন্তু এরপরও শিশু নিগ্রহের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এক্ষেত্রে অবশ্য পুলিশি তৎপরতায় ধৃতরা হেফাজতে।
[দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত পরিবার, সম্মান বাঁচাতে বেনজির লড়াই গৃহকর্তার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.