শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমে পড়া এখন নয়া ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে অনেকেই খুঁজে পান মনের মানুষটিকে। ভালবাসা অনেক সময় বদলে যায় পরিণয়ে। কখনও আবার নেটদুনিয়ার প্রেমের ঘুড়ি ভোকাট্টাও হয়ে যায়। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে এখন আবার প্রেমে পড়ার নয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক। এবার সেখানেই পরস্পরের প্রেমে পড়ল দুই নাবালিকা।
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। শুধু তো প্রেমে পড়েননি, ভালবাসার টানে ঘর থেকে পালিয়ে সোজা প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে উঠেছে নাবালিকা। যে ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে। অসম থেকে প্রেমিকার টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে শিলিগুড়িতে চলে আসে ওই নাবালিকা। প্রথমে বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি নাবালিকার পরিবার। কিন্তু কিছুদিন পর পরিবারের সামনে ফাঁস হল তাদের ভালবাসা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শহরে হইচই পড়ে যায়।
আইনে বৈধ হলেও সমকামী ভালবাসার সম্পর্ককে এখনও আড় চোখে দেখে সমাজ। এক্ষেত্রে আবার উভয়ই নাবালিকা। আর টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে প্রেমে পড়ে বাড়ি ছাড়ার ঘটনাও একেবারেই বিরল। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতেই দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের ওই নাবালিকা অসমের হোজাই জেলার লঙ্কার বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে থেকে শিলিগুড়ির নৌকাঘাটের ১৪ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে টিকটকে পরিচয় হয় তার। দু’জন বেশ কয়েকটি ভিডিও বানায়। যা সোশ্যাল মিডিয়াতে সাড়াও ফেলে। এরপরই দু’জনের মধ্যে নম্বর আদান-প্রদানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সম্পর্ক। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে অসম থেকে পালিয়ে আসে নাবালিকা। শিলিগুড়ি পৌঁছে প্রেমিকার বাড়িতে পৌঁছায়। অসম থেকে শিলিগুড়ি বেড়াতে এসেছে বলে পরিবারের সদস্যদের জানায় তারা। প্রথমে বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা গুরুত্ব না দিলেও পরে তাঁদের সন্দেহ হয়। ছ’দিন পর দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাবালিকার পরিবার। তখনই নিজেদের সম্পর্কের পাশাপাশি অসম থেকে পালিয়ে আসার কথা সকলকে জানায় সে।
এরপর শুক্রবার সকালে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এনজেপি থানার পুলিশকে খবর দিলে দু’জনকে শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দেয় পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (জোন ১) নরেন্দ্র কালিকোটে বলেন, “নাবালিকাদের হোমে রাখা হয়েছে। অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অসমের লঙ্কা থানায় নাবালিকার নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ অসমের নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.