শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ফের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। ওড়িশার শোনপুর জেলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বছর চব্বিশের যুবক। লকডাউনে ফিরতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে খবর। এরপর শনিবার শৌচালয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতের নাম বকুল শেখ।
জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগেই রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে বকুল ওড়িশার শোনপুরে সিংহিজুবা নামে একটি জায়গায় গিয়েছিলেন। ইদের আগেই সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় কর্মস্থলেই আটকে পড়েন। একদিকে, লকডাউনে বন্ধ কাজ। হাতে টাকা নেই তেমন। অন্যদিকে বাড়ি না ফিরতে পারার চিন্তা। দুয়ে মিলে ক্রমশ বাড়ছিল হতাশা। মানসিক অবসাদেও ডুবে যাচ্ছিলেন বকুল, এমনিই জানাচ্ছেন তাঁর সহকর্মীরা।
এরই মাঝে শনিবার সকালে শৌচালয়ে যাওয়ার পর তিনি আচমকা পড়ে যান। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো, তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই। মৃত্যুর খবর বকুল শেখের কোহেতপুর বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নার রোল নেমে এসেছে পরিবারে। লকডাউনের মধ্যে মৃতদেহ বাড়িতে আনা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপ চেপে রাখতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এই জেলারই আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হল কেরলের ভালানজরিতে। সফিকুল শেখ নামে এই যুবকও রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিল। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে নয়, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে লরির চাকায় পিষ্ট হয়েছে তাঁর। প্রাথমিক অনুমান, লকডাউনের মাঝে তিনি বাইরে বেরিয়ে আইন ভাঙায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরপরই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.