ধীমান রায়, কাটোয়া: তৃণমূল নেতা অসীম দাস হত্যাকাণ্ডে শুরু পুলিশি ধরপাকড়। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল সাবুল শেখ এবং সামু শেখ। অভিযুক্তরা যথাক্রমে কল্যাণপুর এবং কোটালঘোষ এলাকার বাসিন্দা। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
সোমবার সন্ধ্যায় কাশেমনগর বাজার থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় আটকে গুলি করে খুন করা হয় লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল (TMC) সভাপতি অসীম দাসকে। তারপর থেকে এখনও ওই খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে ও এলাকায় ঘুরে যায় সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী কমিটি বা ‘সিট’ গঠন করা হয়। পেশাদার হাতেই গুলি চালানো হয় বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
এদিকে, বুধবার বিকেলে নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকেই শাস্তি পাবেন বলেই আশ্বাস দেন তিনি। আগামী তিনদিনেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের আশ্বাসের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। ধৃতেরা হল সাবুল শেখ এবং সামু শেখ। অভিযুক্তরা যথাক্রমে কল্যাণপুর এবং কোটালঘোষ এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, খুনে দু’জনের ভূমিকাই বা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার পর আসল সত্য উদঘাটন হবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.