Advertisement
Advertisement

বৃদ্ধার দেহ কবর দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের গন্ডগোল, আহত বহু

পরে অবশ্য চাঁদা তুলে বৃদ্ধার দেহ কবর দিলেন হিন্দু ও মুসলিমরা।

Two group clashes over burial
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 5, 2018 7:32 pm
  • Updated:December 5, 2018 7:32 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: এ যেন মরেও শান্তি না পাওয়া! আটাত্তর বছরের এক বৃদ্ধার কবর মসজিদে না বাইরে কোনও জমিতে দেওয়া হবে এ নিয়ে দুপক্ষের বচসা, হাতাহাতি। লাঠি, অস্ত্রের কোপে দু’পক্ষের কমবেশি দশজন আহত হন। এদের মধ্যে সাতজনকে করিমপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে দুজনকে স্থানান্তরিতও করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে হোগলবেড়িয়া থানার দুর্লভপুরের ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শেষপর্যন্ত রাতে হিন্দু-মুসলমান দুপক্ষই চাঁদা তুলে সম্প্রীতির নজির গড়ে ওই বৃদ্ধার দেহ মসজিদের বাইরে একটি জমিতে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় আলোচনা তুঙ্গে।

[ভিখারির বেশে বাড়িতে ঢুকে গয়না চুরি, শেষে ধরা পড়ল চোর]

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোগলবেড়িয়া থানার দুর্লভপুরে বাড়ি বৃদ্ধা মজিরণ বেওয়ার। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান। গরিব মজিরণের কোনও জমি ছিল না। তিনি দুর্লভপুর মসজিদেও আসতেন। তাই মসজিদ কমিটির অধিকাংশই চাইছিলেন মসজিদের পিছনে এই দুঃস্থ বৃদ্ধার কবর দেওয়া হোক। কিন্তু কোথায় কবর দেওয়া হবে, তাই নিয়ে মসজিদ কমিটির দুপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ বেধে যায়। সেখান থেকে দু’পক্ষের মধ্যে লাঠি, ধারাল অস্ত্র নিয়ে মারামারি হয়। তাতে দুপক্ষের আহতদের করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই গন্ডগোলের কারণে কবর দেওয়ার কাজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। ঘটনা প্রসঙ্গে দুর্লভপুর মসজিদ কমিটির সদস্য রহিদূল শেখ বলেন, “মসজিদের অধিকাংশ মানুষ চাইছিলেন মজিরণের কবর মসজিদের পিছনে থাকা জমিতে দেওয়া হোক। কারণ তাঁর কোনও জমি নেই। তাই এই কথা বলা হয়। কিন্ত এক পক্ষ বাধা দেয়। সেই নিয়ে গন্ডগোল, মারামারি হয়। তাতে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয় কয়েক জনকে।” ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিনতা বিশ্বাস ও অজয় বিশ্বাস বলেন, “এই এলাকায় কোনও ঝামেলা নেই। কিন্তু গতকাল কবর দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল হয়। বৃদ্ধার মৃত্যর পরও শান্তি নেই। পরে এলাকার হিন্দু-মুসলিমরা চাঁদা তুলে ওই বৃদ্ধার কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।”

[পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে এল চোর! তারপর…..]

এলাকার হিন্দু-মুসলিমরা এগিয়ে আসেন। তাঁরাই চাঁদা তুলে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে মজিরণ বিবির দেহ কবর দেওয়া হয়। কবরের পর ফের দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। আহতদের মধ্যে দুজনকে করিমপুর হাসপাতাল থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement