ছবি: প্রতীকী
চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: সবসময় দু’জনেই একসঙ্গে ঘোরাফেরা করত। যাকে বলে একাত্মা, এক প্রাণ। দু’জনেরই পাশাপাশি বাড়ি। শেষে সেই দুই বান্ধবী মিলেই আত্মহত্যা করল ছাদে উঠে। কিন্তু কেন ১৬ আর ২০ বছরের দুই ছাত্রী এমন পথ বেছে নিল? তার উত্তর খুঁজছে দুই পরিবারের সদস্য এবং পুলিশ। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার রাজারামপুর গ্রামে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সুরজান খাতুন (১৬) আর পানসি খাতুন (২০) নামে দুই বন্ধবীর আত্মহত্যার রহস্য নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্নও। কোনও ‘অন্যরকম’ সম্পর্ক ছিল কি? তবে পরিবার এবং গ্রামের মানুষের বক্তব্য, তেমন কোনও আস্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল না। মধ্যরাতে বিছানা ছেড়ে এক বান্ধবী অপরজনের ছাদে গিয়ে আত্মহত্যা করে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। বিষ খেয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
দুই কিশোরী বাগডাঙা গার্লস স্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অপরদিকে মৃত দুই কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানান, “মঙ্গলবার গভীর রাতে সুরজান বিছানা ছেড়ে ছাদে উঠে পাঁচিল টপকে পানসিদের ছাদে চলে যায়। পরে দুই বান্ধবী একসঙ্গেই বিষ পান করে। ভোররাতে পরিবারের সদস্যরা বিছানায় মেয়েদের না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করে। শেষে দু’জনকেই ছাদে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের লোকজন দু’জনকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই দুই কিশোরীকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই দুই বান্ধবীর মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.