Advertisement
Advertisement
Two fire arms Nityananda Chatterjee Anubrata Mandal

অনুব্রত মণ্ডলকে খুনের হুমকি কাণ্ডে ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, বাজেয়াপ্ত কার্তুজ

আগ্নেয়াস্ত্র দু'টির লাইসেন্সও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Two fire arms seize from Nityananda Chatterjee's house ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 26, 2020 5:52 pm
  • Updated:September 26, 2020 5:52 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গুলি করে খুন করার হুমকির অভিযোগে ধৃত গুসকরার প্রবীণ তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। তার বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। এদিন গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ ধৃত নিত্যানন্দকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে যায়। তারপর নিত্যানন্দের শোওয়ার ঘর থেকে একটি দো’নলা বন্দুক এবং একটি ৬ এমএম পিস্তল উদ্ধার করেছে। সঙ্গে দো’নলা বন্দুকের দু’টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায় দু’টি বন্দুকই লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং নিত্যানন্দের নামেই লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্স দু’টিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। 

ফোনে অনুব্রত মণ্ডলকে গুলি করে খুন করার হুমকির অভিযোগে গত মঙ্গলবার গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে (Nityananda Chatterjee) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই হুমকি ফোনের একটি অডিও ভাইরাল হয়। সেই অডিও রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে গুসকরার বাসিন্দা শেখ সুজাউদ্দিন নামে এক তৃণমূল কর্মী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও নিত্যানন্দ হুমকির অভিযোগ স্বীকার করে জানান অনুব্রতর স্ত্রীর অসুস্থতার সময় তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার চেয়েও টাকা ফেরত না দেওয়ায় হুমকি দিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারির পর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। তারপর পুলিশ আদালতের কাছে আবেদন করে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে। শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলার পর বিচারক নিত্যানন্দকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: সংকটকালেও সততার নজির, টাকাভরতি হারানো ব্যাগের মালিককে খুঁজে ফেরত দিলেন ২ যুবক]

গুসকরা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নিত্যানন্দর বাড়ি। তাকে সঙ্গে করে পুলিশ এদিন দুপুরে তার বাড়িতে আসে। নিত্যানন্দবাবুকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী স্বপ্নাদেবী। স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেন নিত্যানন্দবাবু। স্বপ্নাদেবী বলেন, “আমার স্বামী দলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করছেন। তাকেই রাজনৈতিক কোপে পড়তে হল।”  পুলিশ নিত্যানন্দবাবুকে জিঞ্জাসা করে কোথায় রাখা আছে আগ্নেয়াস্ত্র?নিত্যানন্দবাবু জানান, আলমারির লকারে পিস্তল এবং দেওয়াল আলমারিতে দো’নলা বন্দুকটি আছে। সেখান থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দো’নলা বন্দুকটি নিত্যানন্দের বাবার আমলের। বাবার মৃত্যুর পর তার নামে লাইসেন্স পরিবর্তন হয়। অপরদিকে পিস্তলটির লাইসেন্স ১৯৮১ সালে পেয়েছিলেন নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রই এদিন লাইসেন্স-সহ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

ছবি:জয়ন্ত দাস

[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী নিয়ে হাই কোর্টের কমিটির বৈঠক নিষ্ফলা, মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত অধরাই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement