দুর্ঘটনাগ্রস্ত অ্যাম্বুল্যান্স।
বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: ফের বেপরোয়া গতি কাড়ল প্রাণ। নাতির চিকিৎসা করাতে গিয়ে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দাদু ও জ্যাঠার। মৃতদের নাম লিয়াকত আলি শেখ (৬৫) ও সহিদুল আলি শেখ (৪৮)। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন চালক-সহ অ্যাম্বুল্যান্সের বাকি চার আরোহী। রোগী নিয়ে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে কলকাতার হাসপাতালে যাচ্ছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। মঙ্গলবার ভোর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়ার হাঁসডাঙা লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে।
জানা গিয়েছে, বাড়ির সামনে খেলতে গিয়ে মোটর বাইকের ধাক্কায় গুরুতর চোট পায় বছর এগারোর রাহেন শেখ। তাকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই কলকাতায় যাচ্ছিলেন বাড়ির সদস্যরা। রাহেনের আঘাত গুরুতর থাকায় অ্যাম্বুল্যান্সে করেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দুর্ঘটনায় রাহেনও আহত হয়েছে। জ্যাঠা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত অ্যাম্বুল্যান্সটি প্রথমে জাতীয় সড়কে টহলদার পুলিশ ভ্যানের নজরে আসে। সঙ্গেসঙ্গেই উদ্ধারকার্যে লাগেন পুলিশকর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তৎক্ষণাৎ লিয়াকত আলি ও সহিদুল আলির মৃত্যু হয়। বাকিদের আঘাত গুরুতর থাকায় সেখানেই চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। গাড়ির গতি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। মদ্যপানের কারণে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লরিটিকে দেখতে পাননি। তাই লরির কাছাকাছি চলে এসেও গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পৌঁছেছে রানিনগরের শেখ বাড়িতে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.