Advertisement
Advertisement
Two bodies recovered from river in Maldah

কচুরিপানা সরাতেই বেরিয়ে এল হাত-পা, মালদহের ভূতনির চরে জোড়া দেহ উদ্ধারে আতঙ্ক

বিহার-উত্তরপ্রদেশে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া করোনা রোগীর মৃতদেহ বলে মনে করা হচ্ছে।

Two decomposed bodies recovered from river in Maldah ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 5, 2021 1:59 pm
  • Updated:June 5, 2021 2:30 pm  

বাবুল হক, মালদহ: নদীতে ভেসে যাচ্ছে কচুরিপানা। আর তা সরাতেই বেরিয়ে এল হাত-পা। সঙ্গে সঙ্গে জোরাল চিৎকার মৎস্যজীবী থেকে মাঝি সকলের। শনিবার সাতসকালে মালদহের (Maldah) মাণিকচকের ভূতনির চরের হীরানন্দপুর এলাকায় দু’টি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

কে বা কারা ওই দেহগুলি নদীতে ভাসিয়ে দিল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। মালদহের ঠিক পাশেরই রাজ্য বিহার। সেখান থেকে দেহগুলি ভেসে আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। করোনা (C কালে মৃতদের দেহ সৎকার করতে না পারার ফলে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে একের পর এক দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। ওই ঘটনার ভিডিও নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার সঙ্গে ভূতনির চরে দেহ উদ্ধারের যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে মাণিকচক ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘জেলে নয়, গৃহবন্দি থাকতে চাই’, আদালতে আরজি ছত্রধর মাহাতোর]

উল্লেখ্য, করোনা রোগীদের দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই মালদহ জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। মানিকচক ঘাট ঝাড়খণ্ড-লাগোয়া। একপাড়ে মালদহ। অন্যপাড়ে রাজমহল। প্রতিদিন লঞ্চে কয়েকশো মানুষ নদীপথে বিহার-ঝাড়খণ্ডে যাতায়াত লেগেই থাকত। তাই ওই ঘাটগুলিতে অতিরিক্ত নৌকা ও বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলা হয়েছিল। করোনা রোগীর দেহ হলে পাঁচ ফুট গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের করোনা গ্রাফ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারই মাঝে এবার ভূতনির চরে ভেসে এল দু’টি দেহ। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে চোখে যে আতঙ্কের ছাপ ফেলেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

[আরও পড়ুন: বিজেপিকে বয়কটের ডাক দেয়নি তৃণমূল, কেশপুরের লিফলেট কাণ্ডে দাবি সাংসদ দেবের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement