Advertisement
Advertisement
ধর্ষণ

কাটোয়ায় বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, পলাতক ২ অভিযুক্ত

ধর্ষণের কথা জানাজানি হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির৷

Two BJP worker allegedly raped a woman in Katwa

ছবি প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 27, 2019 9:19 pm
  • Updated:April 27, 2019 9:19 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: একসঙ্গে দলীয় পতাকা টাঙানোর কাজে বেড়িয়েছিলেন। তারই ফাঁকে পালিয়ে এসে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করল আরেকজন৷ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পানুহাটের বারুজীবি কলোনীর ঘটনা৷ বছর বাইশের ওই গৃহবধূ সুরজিৎ সরকার ও চঞ্চল মণ্ডল নামে স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক দু’জনেই। পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।

[ আরও পড়ুন: ‘ভোটের দিন আদর-সোহাগ থাকবে’, শেষবেলার প্রচারে প্রেমের বাণী অনুব্রতর]

গত শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। সন্ধেবেলা গৃহবধূর স্বামী দলের প্রচারের কাজে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। ঘরে শুয়েছিলেন গৃহবধূ ও তার এক বছরের মেয়ে। স্বামী রাতে ফেরার পর যাতে ঘরে ঢুকতে সমস্যা না হয় তাই গৃহবধূ দরজা খুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। অভিযোগ, দরজা খোলা থাকার সুযোগে রাত একটা নাগাদ সুরজিৎ সরকার ও চঞ্চল মণ্ডল ঘরে ঢোকে। বাধা দিতে গেলে সন্তানকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় দু’জন। চঞ্চলের সামনে সুরজিৎ গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতার স্বামীর দাবি, সুরজিৎ-সহ কয়েকজন দলীয় পতাকা টাঙাতে বেড়িয়েছিলেন। কাজ শেষ হওয়ার আগেই সুরজিৎ জানায় তার শরীর খারাপ লাগছে। বাড়ি চলে যাবে। তখন ওই গৃহবধূর স্বামী ও আরও কয়েকজন পতাকা টাঙানোর কাজ করছিলেন। ঘণ্টাখানেক পর নির্যাতিতার স্বামী বাড়ি ফিরে আসেন। তখন তাঁর নজরে পড়ে ঘরের সামনে একজোড়া জুতো খোলা রয়েছে। গৃহবধূর স্বামী খোঁজাখুঁজি করে শৌচাগারের ভিতরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় সুরজিৎকে দেখতে পান। সুরজিৎ এবং চঞ্চলকে ধরে ফেলেন তিনি। দুজনকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয়। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কয়েকজন বিজেপি কর্মী ঘটনাস্থলে যায়৷ সুরজিৎ এবং চঞ্চলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তারা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: মদনের বিরুদ্ধে ভাটপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী অর্জুনপুত্র পবন]

এরপর থানায় ওই দম্পতি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা(গ্রামীণ) সাধারণ সম্পাদক সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা আমাদের কর্মী নন। তবে ভোটের সময় মজুরির বিনিময়ে পতাকা টাঙানোর কাজ করছিলেন।” অভিযোগ সত্যি হলে দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement