দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজ্যে জালিয়াতির ফাঁদ পেতে বসেছে একদল প্রতারক। প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইঞ্জেকশন পৌঁছে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতাচ্ছে তারা। এমনকী ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের থেকেও টাকা তুলছে। হুগলির চন্দননগরে এমনই এক জালিয়াত চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। দুজনকেও গ্রেপ্তারও করেছেন চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।
কথা ছিল, রেমডেসেভির ইঞ্জেকশান পৌঁছে দেওয়া। সেই মতো মহারাষ্ট্রের এক পরিবারের থেকে টাকাও তুলেছিল তারা। কিন্তু প্রয়োজনমতো ওষুধ, ইঞ্জেকশন পৌঁছে দেওয়া হয়নি। বরং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল ওই অভিযুক্তরা।
বিভা আগরওয়ালের অভিযোগ পাওয়ার পরই চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তরের পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া থেকে মূল অভিযুক্ত প্রতারক আমন সিং ওরফে ডাঃ অন্নু মেহেতাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্নুরই আর এক শাগরেদ সুমন নাথকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত সুমন নাথ চন্দননগরের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি প্রতারণার জন্য যে সিম কার্ড ও মোবাইল ব্যবহার করা হয়েছিল তা বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের একজনের চন্দননগরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে ৫৪ হাজার টাকা ছিল। পুলিশের নির্দেশে ওই অ্যাকাউন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার ধৃত দুই প্রতারককে চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশের অনুমান এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ দিন ধরে ধৃতরা এভাবে বিভিন্ন করোনা রোগীর পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.